মুম্বই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ছেন বিরাট কোহলি। নিজেই কিছুদিন আগে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদৌ কি নিজে থেকেই ছাড়ছেন, নাকি কোনও চাপ তৈরি হয়েছিল? যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে এমন সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল চলাকালিনই নাকি ঝামেলা বাঁধে মূলত। সে সময় জাতীয় দলের ২ সিনিয়র ক্রিকেটার নাকি কোহলির নামে অভিযোগ করেছিলেন জয় শাহর কাছে। 


জাতীয় দলের ভেতরেই বিরাট বিদ্বেষী মনোভাব। কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসছে কেউটে। এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঘটনাটি ঘটে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের ফলে বিরাটের রোষের মুখে পড়েন সতীর্থরা। এই ঘটনায় রেগে যান অজিঙ্কা রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারা। তাঁরা সেখান থেকে ফোন করে বোর্ড সচিব জয় শাহকে বিরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। সূত্রের খবর, পূজারার ব্যাটিংয়ে একদমই খুশি ছিলেন না বিরাট। দুই ইনিংস মিলিয়ে পূজারা করেন যথাক্রমে ৮ ও ১৫ রান। অন্যদিকে রাহানে করেন যথাক্রমে ৪৯ ও ১৫ রান। দলের এই দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের খারাপ পারফরম্যান্সের পরই ড্রেসিংরুমে ফিরে নাকি বিরাট খুব বাজে ব্যবহার করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে। 


রাহানে ও পূজারার অভিযোগ শোনার পর বিসিসিআই দলের বাকিদেরও মতামত নেয়। সেখানেই নাকি অভিযোগের তালিকা আরও বাড়তে থাকে। বিরাটকে নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে কোহলির মনোমালিন্যের কথা অজানা নয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুরো টেস্ট সিরিজে অশ্বিনকে একটি ম্যাচেও খেলাননি কোহলি। রবি শাস্ত্রী শেষ টেস্টে অশ্বিনকে খেলাতে চাইলেও সে ব্যাপারে পাত্তা দেননি তিনি। এই সব তথ্য উঠে আসতেই কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে তবে কি বিরাটকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছিল বোর্ডই। এরই মধ্যে যদিও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা উল্লেখ করে বিরাট সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে। আইপিএলেও আরসিবির নেতৃত্ব ছাড়ছেন এই মরসুমের পর। মনে করা হচ্ছে বিসিসিআইয়ের তরফে কোনও বার্তা হয়ত বিরাটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ভারত অধিনায়ক।