নয়াদিল্লি: মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পাশাপাশি সুরেশ রায়নাকেও অভিনন্দন, শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গত শনিবার ৭৪-তম স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় আকস্মিক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণার পরপরই অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানান রায়না। ৩৩ বছর বয়সি ভারতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের নির্ভরযোগ্য সদস্যকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ২০১১-র বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্সের উল্লেখ করেন মোদি। ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সেই বিশ্বকাপ জেতে এবং তাতে বড় অবদান ছিল রায়নারও। সবচেয়ে উল্লেখ করার মতো ভূমিকা ছিল তাঁর আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে। রায়না সেই ম্যাচে ৩৪ রানে নট আউট থাকেন, ভারত ৫ উইকেটে জয় পায়। তাঁর মাঠে বসে সরাসরি সেই ম্যাচ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল বলে চিঠিতে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১১-র বিশ্বকাপে আপনার ভূমিকা ভুলতে পারি না। বাঁ হাতি রায়না টিম স্পিরিটের সমার্থক বলেও প্রশংসা করেন তিনি। আরও লেখেন, রায়না এত অল্প বয়সে এবং এতটা এনার্জি থাকতে থাকতেই অবসর নিলেন! অবসরের বয়স হয়নি।
রায়নাও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বার্তায় পাল্টা সৌজন্য় দেখিয়ে ট্যুইট করেছেন, দেশের জন্য খেলি, ঘাম-রক্ত ঝরাই। দেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসা, প্রশংসার চেয়ে বেশি দামি কিছু নেই। আপনার প্রশংসা, শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা জানাই। তা গ্রহণ করুন।
রায়না ২০০৫ এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন। শুরু থেকেই নিজের পারফরম্য়ান্সে নজর কাড়েন নির্বাচকদের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। ১৮টি টেস্ট, ২২৬টি একদিনের ম্যাচ, ৭৮টি টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন দেশের হয়। ২০১৮-য় ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে যান। সেটাই ছিল দেশের হয়ে তাঁর শেষ মাঠে নামা। তারপর থেকে তিনি দলের বাইরে। ২০২০ র আসন্ন আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) হয়ে দেখা যাবে তাঁকে।