গুয়াহাটি: যুব বিশ্বকাপ জিতিয়েছে ভারতকে অধিনায়ক হিসেবে। এবার রঞ্জিতে অভিষেকেই নিজের ছাপ রাখলেন যশ ধূল। শতরান হাঁকালেন তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। ওপেন করতে নেমেছিলেন এদিন। ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি ১৫০ বলে। নিজের ইনিংসে ১৮টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন এই তরুণ ব্যাটার। যুব বিশ্বকাপে ২২৯ রান ঝুলিতে পুরে নিয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পরই পুরস্কার পেয়েছিলেন রঞ্জি দলে সুযোগ পেয়ে। আর এবার একাদশে সুযোগ পেতেই বাজিমাত করলেন যশ। তিনি যে লম্বা রেসের ঘোড়া তা বুঝিয়ে দিলেন এই ব্যাটার।


যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে যশের নেতৃত্বেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এই নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য যুব বিশ্বকাপ জিতল ভারতীয় দল। ক্যারিবিয়ান ভূমিতে খেতাব জয়ের পর দেশের মাটিতে পা রেখে আমদাবাদে সংবর্ধিত হয়েছিল গোটা ভারতীয় দল। সেখানেই দলের অন্যান্যদের সঙ্গে ছিলেন যশ ধূলও। গুয়াহাটির উদ্দেশে দিল্লি শিবির রওনা দিয়েছে। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন যশ। 


রবি কুমার সহ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের ৮ জন ক্রিকেটার। কারণ, তাঁরা এখনও পর্যন্ত একটিও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ (First Class Cricket) খেলেননি। বিসিসিআই-এর (BCCI) নিয়ম অনুযায়ী, আইপিএল-এ জায়গা পেতে হলে অন্তত একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতেই হবে। না হলে অন্তত ১৯ বছর বয়স হতেই হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটাররা এই শর্তগুলির কোনওটিই পূরণ করতে পারছেন না। সেই কারণেই তাঁদের পক্ষে এবারের আইপিএল-এর নিলামে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।


বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উইকেটকিপার দীনেশ বানা, সহ-অধিনায়ক শায়েক রশিদ, বাংলার বাঁ হাতি পেসার রবি কুমার, অলরাউন্ডার নিশান্ত সিন্ধু, সিদ্ধার্থ যাদব, ওপেনার অঙ্ককৃশ রঘুবংশী, মানব পারেখ ও গর্ব সাঙ্গওয়ান আইপিএল-এর নিলামে যোগ দিতে পারেননি।  তবে বিসিসিআই-এর একাংশের মতে, করোনা আবহে গত দু’বছরে খুব কমই ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। তাই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই আটজন ক্রিকেটারের জন্য নিয়ম বদল করা যেতেই পারে।