কটক: অঙ্কটা দুই দলের কাছেই ভীষণ পরিষ্কার ছিল। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) সরাসরি জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট। হায়দরাবাদের দরকার ছিল ২২৩ রান। তবে বাংলার বোলিং বিক্রমের সামনে শেষরক্ষা করতে পারল না হায়দরাবাদ (Bengal vs Hyderabad)। ১৬৬ রানে অল আউট হয়ে গেল। ম্যাচের শেষ দিন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে ৭২ রানে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। সেই সঙ্গে বাংলার ঘরে এল মহার্ঘ্য ৬ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে দুই ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল বাংলার। রঞ্জি ট্রফিতে কার্যত নক আউট পর্বে পৌঁছে গেলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা।


তৃতীয় দিনের শেষেই বাংলা শিবির সরাসরি জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। কারণ, বঙ্গ পেসাররা দুরন্ত ছন্দে। মাত্র ১৬ রানের মধ্যে হায়দরাবাদের টপ অর্ডারের তিনজনকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। একটি করে উইকেট পেয়েছিলেন আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েল ও মুকেশ কুমার। শনিবারই বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলেছিলেন, 'আমাদের সরাসরি জেতার জন্যই ঝাঁপাতে হবে। কালকের প্রথম ঘণ্টাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত ওদের কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে হবে। আমাদের হাতে এখনও ২২২ রান আছে। ওদের অল আউট করতে হবে।'


বোলিং কোচকে হতাশ করেননি বাংলার বোলাররা। রবিবার দেড়শো রান খরচ করে হায়দরাবাদের শেষ সাতটি উইকেট তুলে নেয় বাংলা। আকাশ দীপ চার উইকেট পেয়েছেন। তিন উইকেট শাহবাজ আমেদের। যিনি ব্যাটেও দলের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছিলেন। চাপের মুখে তাঁর হাফসেঞ্চুরিই ম্যাচে বাংলাকে ভাল জায়গায় রেখেছিল। এছাড়া মুকেশ দুটি ও ঈশান একটি উইকেট নিয়েছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯১ রান করার পাশাপাশি বল হাতে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছেন শাহবাজ।


২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রঞ্জিতে এলিট গ্রুপ বি-র শীর্ষে বাংলা। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট হায়দরাবাদের। বাংলা শেষ ম্যাচ খেলবে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে। ৩ মার্চ থেকে।