সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ (Ben vs MP)। বাংলার পরের ম্যাচ ইনদওরে। হোলকার স্টেডিয়ামে। যে ম্যাচের অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে বাংলা শিবির।


আর সেই ম্যাচের আগে এমন একটা খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, বাংলা শিবির বেশ উৎফুল্ল। কেউ কেউ তো এমনও বলাবলি করছেন যে, সেমিফাইনাল ম্যাচ তো বাংলা খেলছে 'ঘরের মাঠে'!


কীভাবে? অনেকেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন। কারণ, বাংলাকে সেমিফাইনালে খেলতে হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। কোয়ার্টার ফাইনালে অন্ধ্রপ্রদেশ জিতলে হোম ম্যাচ পেত বাংলা। সেক্ষেত্রে ইডেনেই হতো সেমিফাইনাল। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) এবারের ফর্ম্যাট অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে যে দল বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, তাদের মাঠেই হবে নক আউট ম্যাচ। অন্ধ্রপ্রদেশের চেয়ে বাংলার পয়েন্ট বেশি ছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ জেতায় সেই সম্ভাবনা ভেস্তে যায়। মধ্যপ্রদেশের পয়েন্ট গ্রুপ পর্বে বেশি থাকায় ইনদওরে বাংলার সেমিফাইনাল ম্যাচ পড়েছে।


তাহলে মনোজ তিওয়ারিদের হোম ম্যাচ কীভাবে?


বাংলা শিবির সূত্রে খবর, ইনদওরে যে পিচে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ খেলা হতে পারে, তা অনেকটাই ইডেনের বাইশ গজের মতো। ইনদওরেই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলেছিল মধ্যপ্রদেশ। প্রতিপক্ষ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে সেই ম্য়াচ খেলা হয়েছিল যে পিচে, তাতে কিছুটা লাল মাটি ছিল। যে ধরণের পিচে স্পিনাররা একটু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে বাংলা শিবির এখন থেকেই বাইশ গজ নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। আর সেই অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চোখ চকচক করে ওঠার মতো তথ্য।


শোনা যাচ্ছে, যে পিচে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ ম্যাচ খেলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তা কালো মাটির তৈরি। যা অনেকটা ইডেনের পিচের মতো মাটি। উইকেটে বাড়তি গতি ও বাউন্স থাকতে পারে। আবেশ খানের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশের পেস বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী। তাই পরীক্ষা হবে বাংলার ব্যাটিংয়ের। পাশাপাশি, এই ধরনের পিচে সড়গড় বাংলার ক্রিকেটারেরা। তাই অ্যাওয়ে ম্যাচেও হোম ম্যাচের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বঙ্গ শিবিরের কাছে।


বাংলার অন্যতম কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলছেন, 'এরকম উইকেট পেলে তো আমাদের ছেলেদের ভালই হবে। এই ধরনের পিচে খেলেই আমরা অভ্যস্ত। আশা করছি ভাল একটা ম্যাচ হবে।' পাশাপাশি সৌরাশিস বলছেন, 'গোটা মরসুমটা আমাদের ভাল কেটেছে। তবে সেমিফাইনালে ওঠার পর নেতিবাচক কিছু নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে চাই না। ভুলত্রুটি তো রয়েইছে। কিন্তু কী হয়নি বা করা যায়নি নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। আমরা জানি ছেলেরা কী করতে পারে। বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে গিয়ে বারবার খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। তবে সেসব নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে হবে।'


আরও পড়ুন: শুধু স্পিন নয়, শামিদের রিভার্স সুইংয়ের দক্ষতাও ভাবাচ্ছে অজি তারকা ক্যারিকে