কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য বাংলা দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। ঋদ্ধিমান সাহা শেষ পর্যন্ত বাংলার জার্সিতে রঞ্জি ট্রফির শেষ আটের ম্যাচে নামবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিলই।


তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ঋদ্ধিমানকে পাওয়া যাবে না, ধরেই নিয়েছে বাংলা শিবির। সেই মতোই রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের অঙ্ক সাজানো তৈরি হয়ে গিয়েছে।


সিএবি সূত্রে খবর, ঋদ্ধিমান সাহাকে পাওয়া যাবে না, কার্যত ধরেই নিয়েছে বাংলা শিবিরের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। ঋদ্ধিমান নিজে এখনও কিছু জানাননি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলের কারও কারও কাছে নিজের না খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলেই কানাঘুষো সিএবি চত্বরে।


জাতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার হতাশায় রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। তারপর সিএবি-র এক কর্তা তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও চলতি আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বঙ্গ তারকা। যে কারণে তাঁকে বাংলা দলে রাখা হয়। যদিও তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে সিএবি-র পদাধিকারী প্রশ্ন তোলায় অপমানিত উইকেটকিপার বাংলা ছাড়ার কথা ভেবেছেন। এমনকী, সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে ভিন রাজ্যে খেলার ইচ্ছেপ্রকাশও করেন বিরক্ত ঋদ্ধিমান। সিএবির কাছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চাওয়ার কথাও বলেন।


তারপর থেকেই ঋদ্ধি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। মাঝে তাঁকে ফোন করে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন বাংলার কোচ অরুণ লাল। তিনি ঋদ্ধিকে বলেছিলেন, বাংলার হয়ে মাঠে নেমে রান করে সকলের মুখ বন্ধ করে দাও। তবে তাতে বরফ গলেছে বলে খবর নেই। বরং বুধবার বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ঋদ্ধি। যা থেকে এক প্রকার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছে যে, তিনি রঞ্জি খেলবেন না।


ঋদ্ধিমানের ঘনিষ্ঠ মহলের কেউ কেউ বলছেন, টানা প্রায় তিন মাস জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন তিনি। বাংলা দলের কারও কারও কাছেও সেরকমই ইঙ্গিত বলে শোনা গেল। আপাতত নবাগত অভিষেক পোড়েলকে ধরেই ছক কষছে বাংলা।


আরও পড়ুন: অরুণ টেস্ট অন্ত প্রাণ, আমার পছন্দ টি-২০ ও ওয়ান ডে, বলছেন সদ্যবিবাহিত বুলবুল