সন্দীপ সরকার, কলকাতা: মাত্র ১৭৪ রান তুলতে পারলেই প্রথম ইনিংসের লিড নিশ্চিত হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) সুবিধাজনক জায়গায় বাংলা। দ্বিতীয় উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) ও সুদীপ কুমার ঘরামি (Sudip Kumar Gharami)।


কম আলোর জন্য প্রথম দিন ঝাড়খণ্ড ইনিংস শেষ হওয়ার পর বাংলা ব্যাট করতে নামতে পারেনি (Ben vs Jha)। আলো পরীক্ষা করে আম্পায়াররা জানিয়ে দেন যে, ম্যাচ চালু রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। মাত্র ৬৬.২ ওভার খেলা হয় প্রথম দিন। বুধবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুরুটা সতর্কভাবে করে বাংলা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়। ২৪ বলে মাত্র ১ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান কাজি জুনেইদ সইফি। যাঁকে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য দলে নেওয়া হয়েছে। কর্ণ লালকে বাদ দিয়ে। ঘাতক বোলারের নাম আশিস কুমার।


যদিও কাজির উইকেট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলা শিবির মনে করছে, আশিস কুমারের বল পড়ে লেগস্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। বলা হচ্ছে, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কাজি দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তের শিকার। সব মিলিয়ে ওপেনিং সমস্যা কাটল না বাংলার। গোটা মরসুমে যা ভুগিয়ে আসছে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল-অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিদের টিম ম্যানেজমেন্টকে।


৮.৫ ওভারে ১১/১ হয়ে যাওয়ার পর অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, মেঘলা আবহাওয়ায় না ব্যাটিং ধস নামে। আগের ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে বাংলার একশো রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার তিক্ত স্মৃতিও ফিরে আসছিল কারও কারও মনে।


কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলার আর এক ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও তিন নম্বরে নামা সুদীপ ঘরামি। ওড়িশার বিরুদ্ধে হারা ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন অভিমন্যু। সেই ছন্দই বজায় রাখলেন ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধেও। ৮০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ডানহাতি ব্যাটার। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর হাফসেঞ্চুরি করেছেন সুদীপও। যদিও একবার জীবন পেয়েছেন নৈহাটির ক্রিকেটার। সুপ্রিয় চক্রবর্তী নিজের বলে সুদীপের ফিরতি ক্যাচ ফেলে দেন। তখন সুদীপের রান মাত্র ২৭।


প্রথম ঘণ্টার পরই মেঘলা আকাশ কাটিয়ে রোদ উঠেছে কলকাতায়। বাংলা শিবিরেও কেটে গিয়েছে উদ্বেগের মেঘ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বাংলার স্কোর ছিল ৯৪/১। লাঞ্চ বিরতির পর অবিচ্ছেদ্য দ্বিতীয় উইকেটে একশো রান যোগ করে ফেলেছে বাংলা। বাংলার ইনিংস যত গড়িয়েছে, ঝাড়খণ্ড বোলারদের মধ্যে কাউকে দেখেই মনে হয়নি, উইকেট নিতে পারেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলার স্কোর ৪৪ ওভারে ১৩৬/১। ঝাড়খণ্ডের চেয়ে আর মাত্র ৩৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা।


আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে, শোকের ছায়া ময়দানে