কলকাতা: ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনই শোকের খবর ময়দানে। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে (Parimal Dey)। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।


দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন পরিমল। অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। মঙ্গলবার রাত ১২.১৫ মিনিট নাগাদ কসবায় নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন ফুটবলার। ময়দানে যিনি জংলাদা নামে পরিচিত ছিলেন।


১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইরানের পাস ক্লাবের বিপক্ষে গোল ছিল পরিমল দে-র। সুদর্শন চেহারার পরিমল ছিলেন লাল-হলুদ (East Bengal) জনতার নায়ক। ১৯৬৪ সালে উয়াড়ি থেকে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন। টানা ৬ বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন তিনি। ছিলেন ফরওয়ার্ড। ১৯৬৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হন তিনি। ২০১৪ সালে তাঁকে জীবনকৃতি সম্মান দেয় ইস্টবেঙ্গল।                                                                   


১৯৭০ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের নায়ক ছিলেন পরিমল দে। ইরানের পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে তাঁর করা একমাত্র গোলেই ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে শুরু থেকে খেলেননি পরিমল। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই জয়সূচক গোল করেন। সমর্থকদের কাঁধে চেপে মাঠ ছেড়েছিলেন।                                                                          


ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে মহম্মদ হাবিবের পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তাঁর গোল ম্যাচের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেছিল। পরিমল দে-র সেই ঐতিহাসিক গোল মিলিয়ে দিয়েছিল গোটা ময়দানকে। ম্যাচের শেষ বাঁশির পরে সমর্থকরাই তাঁকে কাঁধে করে পৌঁছে দেন ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। ১৯৭১ সালে পরিমল দে চলে আসেন মোহনবাগানে। কিছুটা অভিমান নিয়েই ক্লাব বদল করেন তিনি। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছেন।


 






পরিমল দে-র পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ রোগভোগের পর মঙ্গলবার রাতে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। আজ, বুধবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।


আরও পড়ুন: ব্যর্থতা ভুলে তাজা হয়ে নামো, শুভমন-ঈশান-রাহুল ত্রয়ীকে পরামর্শ প্রাক্তন তারকার