সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বাংলার সরাসরি জয়ের স্বপ্ন জোরাল ধাক্কা খেয়েছে। উত্তরাখণ্ডকে ৪৮/৬ করে দিয়েও ফলো অন করানো যায়নি। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) উত্তরাখণ্ডের ল্যাজের ঝাপ্টায় বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বাংলা (Bengal vs Uttarakhand)। বাংলার ৩৮৭ রানের জবাবে ২৭২ রান তুলে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে উত্তরাখণ্ড। তার পরেও সরাসরি জয়ের মরিয়া অঙ্ক কষছে বাংলা শিবির।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দেহরাদূনে অভিমন্যু ঈশ্বরণের নামাঙ্কিত অ্যাকাডেমির মাঠে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৪৮/১। উত্তরাখণ্ডের চেয়ে ১৬৩ রানে এগিয়ে বাংলা। শুক্রবার, ম্যাচের শেষ দিন নাটকের অপেক্ষায় বাংলা শিবির। দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল দেহরাদূন থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে বললেন, 'আমরা জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। শেষ দিন আরও ১৪০ রান দ্রুত যোগ করাই লক্ষ্য। সব মিলিয়ে তিনশো রানের লক্ষ্য দিয়ে উত্তরাখণ্ডকে ব্যাটিং করাতে চাই। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলব। আমাদের পরিকল্পনা লাঞ্চ পর্যন্ত প্রথম সেশনে যতটা দ্রুত সম্ভব রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করা। তারপর বাকি দুই সেশনে ওদের ১০ উইকেট তোলার জন্য ঝাঁপানো।'
তবে হঠকারিতা চান না লক্ষ্মী। বাংলার কোচ বলছেন, 'জয়ের জন্য ঝাঁপাতে গিয়ে অবশ্য বেপরোয়া মনোভাব চাই না। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় তিন পয়েন্ট নিশ্চিত। হেরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক, সেটা আমরা কেউই চাই না।'
বুধবার, দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের ১০৪/৬ স্কোরে। কুণাল চাণ্ডেলা ৪০ ও অখিল রাওয়াত ৩২ রানে ক্রিজে ছিলেন। বৃহস্পতিবার দ্রুত প্রতিপক্ষকে অল আউট করা লক্ষ্য ছিল বাংলার। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দেন কুণাল। সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৩০৪ বলে ১৩৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। শাহবাজ আমেদের বলে ৪০ রান করে রাওয়াত ফিরলেও ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান অভয় নেগি। ৫০ রান করেন তিনি। ফলো অন এড়ায় উত্তরাখণ্ড। ১১৫ রানের লিড নেয় বাংলা।
লক্ষ্মীরতনের আক্ষেপ, 'চাণ্ডেলা ৫০ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার চেক করে বলটি নো দেন। ম্যাচের ওইরকম পরিস্থিতিতে নো বল করাটা অপরাধ। পাশাপাশি ক্যাচও ফেলেছি আমরা। সুযোগ নষ্ট না করলে ওদের ফলো অন করাতে পারতাম।'
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই সায়নশেখর মণ্ডল এলবিডব্লিউ হন। ক্রিজে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৭১ বলে ২৪ নঃ আঃ) ও সুদীপ ঘরামি (৭১ বলে ২৪ নঃ আঃ)। বাংলার কোচ সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপানোর কথা বললেও, ব্যাটারদের এরকমই মন্থর গতিতে রান তোলা অব্যহত থাকলে তিন পয়েন্টেই না সন্তুষ্ট থাকতে হয় মনোজ তিওয়ারিদের।
আরও পড়ুন: খেলা দেখতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে কনুই ভেঙেছিলেন, সেই শিবমের গতিতেই ছারখার শ্রীলঙ্কা