নাগপুর: পরপর দ্বিতীয়বার রঞ্জি ট্রফি জিতল বিদর্ভ। ফাইনালে সৌরাষ্ট্রকে ৭৮ রানে হারিয়ে দিল বিদর্ভ। গত বছরের জয় যে ফ্লক ছিল না, তা প্রমাণ করল বিদর্ভ।
জয়ের জন্য ২০৬ রানের প্রয়োজন ছিল সৌরাষ্ট্রের। কিন্তু গতকাল টপ অর্ডারে বিপর্যয় পর তাদের এই লক্ষ্যে পর্বতপ্রমাণ বলেই মনে করা হচ্ছিল। ভিসিএ স্টেডিয়ামে ফাইনালের পঞ্চম দিন জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল আরও ১৪৮ রানের। অন্যদিকে, খেতাব ধরে রাখতে বিদর্ভের প্রয়োজন ছিল পাঁচ উইকেট।


রঞ্জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিদর্ভের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেছেন, গত বছর যখন জিতেছিলাম, তখন সবাই এটাকে ফ্লুক বলে ধরে নিয়েছিল। তাই এবার খেতাব ধরে রাখার একটা চাপ ছিল। কিন্তু আমাদের মনঃসংযোগ নিবদ্ধ ছিল খেলার ওপরই।
ফাইনালে দুই দলের তীব্র লড়াই হয়েছে। কিন্তু ম্যাচের শেষদিন আধিপত্য বজায় রাখল বিদর্ভ এবং প্রতিপক্ষকে দুটি সেশন বাকি থাকতেই ১২৭ রানে অল আউট করে দিল।
গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বিশ্বরাজ জাডেজা (৫২) এবং কমলেশ মাকভানা (১৪) প্রথম ঘন্টায় দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করেন। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সৌরাষ্ট্র।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বাঁহাতি স্পিনার আদিত্য সারওয়াতে এদিন যে পাঁচ উইকেটে পড়েছে, তার তিনটিই দখল করেছেন। ম্যাচে ৫৭ রানে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। কেরিয়ারে এটাই তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ছয় উইকেট দখল করেন সারওয়াতে।
নিঃসন্দেহে ফাইনালের তারকা সারওয়াতে। সৌরাষ্ট্রের ২০ উইকেটের মধ্যে শুধু ১১ টিই তাঁর দখলে গিয়েছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৪৯ রানের ইনিংসে ভর করে তাঁর দল সৌরাষ্ট্রের কাছে ২০৬ রানের লক্ষ্য রাখতে সক্ষম হয়।
রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ দল হিসেবে খেতাব ধরে রাখতে পারল বিদর্ভ। বাকি দলগুলি হল মুম্বই, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, রাজস্থান ও দিল্লি।
২০১২-১৩ এবং ২০১৫-১৬ –র পর ফের রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল সৌরাষ্ট্রকে।
তারকা ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়াটা ভোগাল সৌরাষ্ট্রকে। কিন্তু ওয়াসিম জাফরের ব্যর্থতার ধাক্কা সামলে দিতে পেরেছে বিদর্ভ।
ভারতীয় দলের পেসার উমেশ যাদব বলেছেন, বিদর্ভ ঠিক কোথায়, তা অনেকেই জানেন না। কিন্তু এখন আর তা হবে না।দলের পক্ষে এটা একটা দারুণ কৃতিত্ব।দল দারুণ খেলেছে।
ওয়াসিম জাফর বলেছেন, বিদর্ভের হয়ে রঞ্জিতে দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা তিনি কখনও ভাবেননি। উল্লেখ্য, জাফর মুম্বইয়ের হয়ে আটবার রঞ্জি ফাইনালে খেলেছেন।