বেঙ্গালুরু: ময়ঙ্ক অগ্রবালের (Mayank Agarwal) দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে কর্নাটকের ৪০৭ রান তোলা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯২/৩ হয়ে যাওয়া সৌরাষ্ট্র। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে, ঘরোয়া ক্রিকেটের মহাশক্তিধর কর্নাটক ফের একবার রঞ্জি ফাইনালে উঠতে চলেছে।


কিন্তু সেখান থেকেই উলটপুরাণ। নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল সৌরাষ্ট্র। চতুর্থ উইকেটে ২৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এক সময় আইপিএলে খেলা শেলডন জ্যাকসন ও অধিনায়ক অর্পিত বাসবডা। দুজনই সেঞ্চুরি করলেন। চার নম্বরে নেমে ২৪৫ বলে ১৬০ রানের ইনিংস খেললেন শেলডন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২৩টি চার ও দুটি ছক্কা। পাশাপাশি সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক অর্পিতও। শেলডন ফিরলেও, এখনও ক্রিজে রয়েছেন অর্পিত। ২১৯ বলে ১১২ রান করে। গোটা ইনিংস ১৫টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজিয়েছেন তিনি।


অর্পিতের সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন চিরাগ জানি। ৪২ বলে ১৯ রান করে ক্রিজে রয়েছেন তিনি। অবিচ্ছেদ্য পঞ্চম উইকেটে ৪০ রান যোগ করে ফেলেছেন দুজনে। কর্নাটকের প্রথম ইনিংসের স্কোরের চেয়ে আর মাত্র ৪৩ রানে পিছিয়ে সৌরাষ্ট্র। ম্যাচের বাকি পুরো দুদিন। এখান থেকে অলৌকিক কিছু না হলে প্রথম ইনিংসের লিড নেওয়া সমস্যা হওয়ার কথা নয় সৌরাষ্ট্রের। আর ম্যাচের সরাসরি ফয়সালা না হলে, প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারলে ফাইনালে পৌঁছনোর দৌড়ে এগিয়ে থাকবে সৌরাষ্ট্রই।


কর্নাটকের বোলারদের মধ্যে কেউই সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। এই ম্যাচের দিকে নজর রয়েছে বাংলারও। কারণ, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ভাল জায়গায় রয়েছেন মনোজ তিওয়ারিরা। বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে ম্যাচ জেতা উচিত বাংলারই। আর অন্য সেমিফাইনালে সৌরাষ্ট্র জিতলে ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার সুযোগ পাবে বাংলা।


রঞ্জি ট্রফির এবারের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে যে দল বেশি পয়েন্ট পেয়েছিল, নক আউটের ম্যাচ হবে তাদের মাঠেই। যেভাবে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ইডেনে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলা। আবার অন্ধ্রপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে যাওয়ায় ইনদওরে সেমিফাইনাল খেলতে যেতে হয়েছে বাংলাকে। তবে সৌরাষ্ট্র ফাইনালে উঠলে ইডেনে খেলা হবে।কারণ, গ্রুপ পর্বে বেশি পয়েন্ট ছিল বাংলার।


প্রায় ৯ বছর আগে যে মাঠে সেমিফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল, ইনদওরের সেই হোলকার স্টেডিয়ামে শাপমোচনের পথে বাংলা (Ben vs MP)। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে চালকের আসনে মনোজ তিওয়ারিরা (Manoj Tiwary)। শুক্রবার, ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে ৩২৭ রানের বিশাল লিড বাংলার পকেটে। হাতে এখনও রয়েছে ৮ উইকেট। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এখান থেকে বাংলার ফাইনালে ওঠা কার্যত সময়ের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন: কলকাতা বইমেলায় তারকা অতিথি, মেলার মাঠে হাজির স্পিডস্টার উমরন