লন্ডন: উইম্বলডনের মঞ্চে রবি শাস্ত্রী। এর আগেও বিভিন্ন সময় টেনিসের বড় মঞ্চে দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচকে। এবার উইম্বলডনে বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস প্লেয়ার কার্লোস আলকারাজের ম্যাচে দর্শক হিসেবে গ্যালারিতে দেখা গেল রবি শাস্ত্রীকে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেই সেই ছবি পোস্ট করলেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডারকে।
প্রি-কােয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নিকোলাস জেরির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন কার্লোস আলকারাজ। সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন আলকারাজ।
সাম্প্রাসকে ছুলেন জোকার
শুক্রবারই উইম্বলডনের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় নোভাক জকোভিচের (Novak Djokovic) ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছিল, ৭ জুলাই। দশ বছর আগে এই দিনে উইম্বলডনে শেষ ম্যাচ হেরেছিলেন জকোভিচ। যে পোস্ট কার্যত বুঝিয়ে দেয় যে, ঘাসের কোর্টে কী অবিশ্বাস্য দাপট চলছে জোকারের।চলতি উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কাকে (Stan Wawrinka) স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন জোকার। সেই সঙ্গে স্পর্শ করলেন আরেক কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের রেকর্ড। উইম্বলডনে টানা ম্যাচ জয়ের নিরিখে।
অনেকে ভেবেছিলেন, জোকারের সোনার দৌড় থমকে যেতে পারে ওয়ারিঙ্কার বিরুদ্ধে। কিন্তু কোর্টে দেখা গেল, কার্যত একপেশেভাবে ম্যাচ জিতলেন জকোভিচ। ওয়ারিঙ্কাকে ৬-৩, ৬-১, ৭-৬ (৫) স্ট্রেট সেটে হারিয়েছেন জোকার। উইম্বলডনে এটা জোকারের টানা ৩১ জয়।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সালের চতুর্থ রাউন্ডের আগে পর্যন্ত উইম্বলডনে টানা ৩১ ম্য়াচ জিতেছিলেন সাম্প্রাস। চতুর্থ রাউন্ডে সেবার তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিল ১৯ বছরের এক তরুণ। ৭-৬ (৭), ৫-৭, ৬-৪, ৬-৭, ৭-৫ ব্যবধানে হেরেছিলেন সাম্প্রাস। সেটাই ছিল অখ্যাত তরুণের বিরুদ্ধে কিংবদন্তি সাম্প্রাসের প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎ। পরে সেই তরুণকে রজার ফেডেরার নামে চিনেছিল, কুর্নিশ করেছিল টেনিস বিশ্ব!
সব মিলিয়ে ৭বার উইম্বলডন জিতেছেন সাম্প্রাস। গ্র্য়ান্ড স্ল্যাম জিতেছেন ১৪টি। ২০১৭ সালের কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে জকোভিচ উইম্বলডনে কোনও ম্যাচ হেরে বিদায় নেননি। ২০১৭ সালের কোয়ার্টার ফাইনালেও হারেননি জোকার। তিনি চোটের জন্য সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর থেকে চারবার উইম্বলডন জিতেছেন জোকার। ২০১৮ সালে কেভিন অ্যান্ডারসনকে হারিয়েছিলেন ফাইনালে। ২০১৯ সালে রজার ফেডেরারকে হারান জোকার। মাত্তেও বারেত্তিনিকে হারান ২০২১ সালে। ২০২২ সালের ফাইনালে হারিয়েছিলেন নিক কিরিয়সকে।