ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে অশ্বিন বলেছেন, বাটলারের মাকড়িং আদৌ পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। একেবারে সহজাত প্রবণতায় ঘটে গিয়েছে। এটা তো খেলার নিয়মের মধ্যেই পড়ে। এখানে খেলার স্পিরিটের বিরুদ্ধে ভাবনাচিন্তা আসছে কোথা থেকে।
গতকাল সোমবার পঞ্জাব ও রাজস্থানের ম্যাচে এই ঘটনা ঘিরে। রাজস্থানের ইনিংসের ১৩ তম ওভারে বল করছিলেন অশ্বিন। নন স্ট্রাইকার প্রান্তে ছিলেন বাটলার। অশ্বিনের বল ছোঁড়ার আগের মুহূর্তে ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বাটলার। ওই সময় অশ্বিন বল না করে স্ট্যাম্প ভেঙে বাটলারকে রান আউট করেন।
উল্লেখ্য, এ ধরনের আউট আইসিসি আইনের ৪১.১৬ তে অনুমোদিত। নিয়ম অনুযায়ী, আউটের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে আগে সতর্ক করার কোনও প্রয়োজন নেই।
অশ্বিন বলেছেন, নিয়মে তো রয়েছে। তাই এটা খেলার স্পিরিটের বিরুদ্ধে হলে নিয়মটাই পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
লাহোরে ১৯৮৭-র বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কোর্টনি ওয়ালশ একই ধরনের পরিস্থিতিতে পাক ব্যাটসম্যান সেলিম জাফরকে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। অতীতের এই প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলে অশ্বিন বলেছেন, আমি বা বাটলার তো তখন তো খেলছিলাম না। তাই এক্ষেত্রে দুজনের সঙ্গে তুলনা টানাটা সমীচিন নয়।
অশ্বিন বোলিং করতে গিয়ে বাটলার ক্রিজ ছাড়তে দেখে অপেক্ষা করছিলেন এবং বাটলার এর পরে ক্রিজ ছেড়ে বেরোতেই আউট করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ, নিয়ম অনুসারে, বোলিং করার মুহূর্তে যদি ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান, তা হলেই আউট করা যাবে।
অশ্বিন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনও তর্ক করতে চাই না। আমি সেই মুহূর্তে বলটা করার আগেই বাটলার ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় কী করা উচিত, সেটা আমার হাতেই ছিল। কারণ সেটা বোলিং প্রান্ত।