শারজা: এতদিন মাঠের বাইরে বসে থাকতে হয়েছিল। দলের অষ্টম ম্যাচে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেলেন। আর সুযোগ পেয়েই নিজেকে ফের প্রমাণ করলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত অর্ধশতরান করলেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। পঞ্জাবের অধিনায়ক কে এল রাহুলও অর্ধশতরান করলেন। অপর ওপেনার ময়ঙ্ক অগ্রবালও ঝোড়ো ব্যাটিং করেন। এই তিন ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জয়ে ফিরল পঞ্জাব। চলতি আইপিএল-এ দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াল রাহুলের দল।


এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর দল ৬ উইকেটে ১৭১ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন বিরাট। এবি ডিভিলিয়ার্স অবশ্য রান পাননি। তিনি করেন মাত্র ২ রান। ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ করেন ২০ রান। অপর ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কল ১৮ রান করেন। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৩ ও শিবম দুবে ২৩ রান করেন। ক্রিস মরিস ৮ বলে ২৫ এবং ইসুরু উদানা ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। মরিসের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি। উদানা একটি ছক্কা মারেন। ১৮-তম ওভারে মহম্মদ শামি ফিরিয়ে দেন ডিভিলিয়ার্স ও বিরাটকে। সেই সময় মনে হচ্ছিল, স্বল্প রানেই হয়তো থেমে যাবে আরসিবি। তবে শেষদিকে ক্রিস মরিস ও ইসুরু উদানা ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন। পঞ্জাবের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন শামি ও মুরুগান অশ্বিন। একটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ সিংহ ও ক্রিস জর্ডন।

রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ঝড় তোলেন ময়ঙ্ক ও রাহুল। ২৫ বলে তিনটি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৫ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে বোল্ড হয়ে যান ময়ঙ্ক। এরপর বাকি কাজটা শেষ করে দেন রাহুল ও গেইল। রাহুল ৪৯ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি পাঁচটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন। গেইল ৪৫ বলে ৫৩ রান করেন। তিনিও পাঁচটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে অবশ্য গেইল রান আউট হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে পঞ্জাব। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১ রান। নিকোলাস পুরান ছক্কা মেরে পঞ্জাবকে জয় এনে দেন। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতল পঞ্জাব।

এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে পঞ্জাবের পয়েন্ট হল ৪। এখনও সবার নীচেই রাহুলরা। ব্যাঙ্গালোরের ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। তিন নম্বরেই থাকল বিরাটের দল।