মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদেরই কোচ থাকছেন কার্লো আনচেলোত্তি। এই বর্ষীয়ান ইতালিয়কে কোচ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আপাতত স্প্যানিশ ক্লাবটিতেই কোচ হিসেবে থাকছেন কার্লো। ২০২৬ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি সেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। 


উল্লেখ্য,কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিদায়ের পরই ব্রাজিলের কোচ হিসেবে তিতের পথচলা শেষ হয়। এরপর তেকেই আনচলোত্তিকে কোচ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করছিল নেমারদের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদেই থাকছেন আনচেলোত্তি। এক বিবৃতিতে স্পেনের ক্লাবটি জানিয়েছে, ''২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও কার্লো আনচেলত্তি।''


রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি বাড়ার পর নিজের সােশ্যাল মিডিয়াতেও এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কার্লো আনচেলোত্তি। তিনি লিখেছেন, ''আজকের দিনটি আনন্দের। রিয়াল মাদ্রিদ ও আমি নতুন এবং বড় সাফল্যের সন্ধানে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। সবাইকে ধন্যবাদ।''


উল্লেখ্য, রিয়ালের হয়ে ২ বারের মেয়াদে পাঁচ মরশুম দায়িত্ব সামলেছেন আনচেলোত্তি। মোট ১০টি শিরোপা জিতেছেন। ২টো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২টো ক্লাব বিশ্বকাপ, ২টো ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, ১টি লা লিগা ও ২টো কোপা দেল রে ও একটি স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছেন।


প্রয়াত প্রবীর মুখোপাধ্যায়


ইস্টবেঙ্গলরে ত্রিমুকুট জয়ী দলের অন্যতম সদস্য, প্রাক্তন ফুটবলার প্রবীর মজুমদার প্রয়াত হলেন। বড়দিন এবং বর্ষবরণের আনন্দে যখন মেতে সবাই, তখনই শোকের ছায়া নেমে এল ময়দানে। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেও স্বজন হারানোর শোক।


বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার, লেফট ব্যাক প্রবীর মজুমদারের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়েছেন তিনি। ১৯৭২ সালে একটি ম্যাচও না হেরে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমবার ত্রিমুকুট জেতে লাল হলুদ। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন তিনি।


ইস্টবেঙ্গলের স্বর্ণযুগের দলের লেফট ব্যাক ছিলেন প্রবীর মজুমদার। পরিবারে একমাত্র পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতনিকে রেখে গেলেন তিনি।  ১৯৭৩ সালে কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড এবং ডিসিএম জেতে লাল হলুদ শিবির। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রবীর মজুমদার। শুধু ইস্টবেঙ্গলে খেলাই নয়, একই সঙ্গে কলকাতার প্রধানের হয়ে কোচিংও করিয়েছেন তিনি। ১৯৮১ সালে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হন লেফট ব্যাক প্রবীর। প্রাক্তন এই ফুটবলারের মৃত্যুতে ময়দানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।