দুটি টেস্ট খেলিয়ে দেশের মধ্যে একদিনের ক্রিকেটে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। গত বছর জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২ উইকেটে ৪৩৯ রান এক্ষেত্রে এতদিন ছিল সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের এই পাহাড়প্রমাণ রানে সবচেয়ে বড় অবদান অ্যালেক্স হেলসের। ইংরেজ ওপেনার এ দিন ১২২ বলে ১৭১ করেন। যার মধ্যে রয়েছে ২২ চার এবং ৪ ছয়। ফর্মে ছিলেন ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারের তিন ব্যাট জো রুট, ইয়ন মর্গ্যান এবং জস বাটলারও। তিন নম্বরে নেমে ৮৬ বলে ৮৫ করেন রুট। অধিনায়ক মর্গ্যান ২৭ বলে ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বাটলার (৫১ বলে ৯০ অপরাজিত)। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭টা করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি।ইংল্যান্ডের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ২২ বলে অর্ধশতরানও করেন তিনি।
এই চার ব্যাটসম্যান গুঁড়িয়ে দেন পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিংকে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বাঁ-হাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজের (১০ ওভারে ১১০)। আজহার আলি এক ওভার বল করতে এসে ২০ রান দিয়ে যান। মহম্মদ আমেরকেও রেয়াত করেননি ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। তিনি দশ ওভারে ৭২ দিয়েছেন।
দেশকে বিশ্বরেকর্ডের দিকে এগনোর পথে নিজেও রেকর্ড করলেন হেলস। তাঁর ১৭১ ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ওয়ান ডে স্কোর। তেইশ বছর ধরে যে রেকর্ড ছিল রবিন স্মিথের (১৬৭ নট আউট)।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭৫ রানে অল আউইট হয়ে যায় পাকিস্তান।