কলকাতা: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে উড়ে যাবে ভারতীয় দল। সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। জানালেন, তিনি টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়বেন বলার পর বোর্ডের কেউই তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেননি। যার কয়েকদিন আগেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) স্বয়ং জানিয়েছিলেন যে, কোহলিকে নেতৃত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কোহলির বিবৃতির পর শোরগোল পড়ে যায় ক্রিকেটবিশ্বে। কে ঠিক বলছেন, কে মিথ্যে, তা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে ক্রিকেটমহল।


দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলির বক্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো ঝড় উঠে গিয়েছিল। সেই সাংবাদিক বৈঠকের পর কোহলিকে নাকি শো-কজ করতে চেয়েছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনটাই দাবি করেছিল এক সংবাদমাধ্যম। সেই সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি ছিল, বোর্ড সচিব জয় শাহ নাকি কোনও রকমে সৌরভকে এই শো-কজ করা থেকে নিরস্ত করেছিলেন। তবে পুরো বিষয়টিকেই সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন সৌরভ। সৌরভ দাবি করেছেন, ‘এই ঘটনা একেবারেই সত্যি নয়।’


দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে ভার্চুয়াল সংবাদিক সম্মেলনে বোমা ফাটিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। যা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে এখনও বিতর্ক চলছে। ওডিআই অধিনায়কত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন কোহলি। তাঁকে একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরানোর কারণ হিসেবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তিকে একেবারে খারিজ করে দিয়ে কোহলি দাবি করেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট সিরিজের জন্য দল নির্বাচনের বৈঠকের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে ওডিআই অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের বিষয়ে তাঁকে জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কোহলি আরও বলেন, অক্টোবরে যখন তিনি টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন নেতৃত্ব না ছাড়ার জন্য বোর্ডের কোনও কর্তা বা নির্বাচকেরা তাঁকে অনুরোধ জানাননি। 


অথচ সৌরভ বলে আসছিলেন, বোর্ড কোহলিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়ার জন্য বুঝিয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করেছে। বিরাট কথা শোনেননি। আর সেই কারণে সংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেট একই অধিনায়ক রাখতে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওডিআই-এর নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রোহিতের হাতে।


এই বিতর্কই নতুন মোড় নেয়, যখন জানাজানি হয়, সৌরভ শো-কজ করতে চেয়েছিলেন কোহলিকে। তবে পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করে সৌরভ বিষয়টিতে হয়তো ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন।


রঞ্জি ট্রফি এখনই নয়, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত