মুম্বই: জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা, মা। এমন সুযোগ কি মিস করা যায় নাকি। সাজানো মঞ্চে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। গোটা মাঠ তাঁর জন্য উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছে। অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করার না। নিজের বাবা, মাকে পাশে নিয়েই রিচা বললেন, ''প্রতিটা বল অনুযায়ী শট নির্বাচন করছিলাম আমরা। যেটাই স্ট্রেইট মারার, সেটা সেভাবেই মেরেছি। স্যুইপ শট খেলার প্রয়োজন হলে তেমন শটই খেলেছি। কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার না। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের ব্যাটিংয়ে সেরাটা দিতে চাই।''


রিচা আরও বলেন, ''জেমাইমার সঙ্গে আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল একটা বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার। যত স্কোরবোর্ড রান যোগ হচ্ছিল তত আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাসও আরও বাড়ছিল। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বল নীচু হয়ে আসছিল। তাই আমাদের একটু সতর্ক হয়েও খেলতে হচ্ছিল।''


 






অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অর্ধশতরান হাঁকালেন স্মৃতি মন্ধানাও। গতকালই অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন। স্নেহ রানা ছিলেন তাঁর সঙ্গী। এদিন সকালে ব্য়াট করতে নেমে অর্ধশতরান পূরণ করেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বাঁহাতি ওপেনার। তবে ১০৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন স্মৃতি। নিজের ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি হাঁকান স্মৃতি। স্নেহ রানা ৯ রান করে ফিরে যান তিনি। স্মৃতির সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন রিচা ঘোষ। নিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নেমেছেন কেরিয়ারের। আর প্রথম টেস্টেই নিজের ধৈর্য্যের পরিচয় দিলেন বাংলার এই উইকেটকিপার ব্য়াটার। স্মৃতি মন্ধানা ৭৪ রান করে ফিরে গেলে এরপর জেমাইমা রডরিগেজের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন রিচা। ৫২ রান করেন তিনি। জেমাইমা ৭৩ রান করেন। তবে রান পাননি হরমনপ্রীত কৌর। ২ বলে ০ করে ফেরেন।


এর আগে গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজ়ি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। মেগ ল্যানিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ সময়ের ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে নামলেন হিলি। ভারতের জার্সিতে এদিন অভিষেক হয় রিচা ঘোষের।