লখনউ: আইপিএল তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। বিশেষ করে বলা ভাল গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। এবার আরও একবার ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতালেন রিঙ্কু সিংহ। এবার এক ওভারে হাঁকালেন তিনটি ছক্কা। তাও আবার পরপর তিন বলে। উত্তরপ্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগে মীরুট মাভেরিকসের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ম্যাচে কাশী রুদ্রাসের বিরুদ্ধে ছক্কার হ্যাটট্রিক হাঁকিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন রিঙ্কু।
ম্যাচ সুপার ওভারে গেলে, সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা মীরুটের জন্য এক ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। এই পরিস্থিতিতে স্পিনার শিভা সিংহের তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্য়াচ জিতিয়ে দেন রিঙ্কু। ২ বল বাকি থাকতেই রিঙ্কুর দল ম্যাচ জিতে যায়। প্রথম বলে কোনও রান করতে পারেননি রিঙ্কু। দ্বিতীয় বলে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান এই বাঁহাতি। এর পরের বলটি ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান। এরপর চতুর্থ বলে ফের লং অফের ওপর দিয়ে বল মাঠের বাইরে ফেলেন কেকেআরের এই তারকা ব্যাটার।
উল্লেখ্য, আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন রিঙ্কু। সেই ম্যাচে যশ দয়ালের ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকান। জাতীয় দলেও ডাক পেয়ে যান। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝোড়াে ৩৮ রান করার সুবাদে ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
সেই ইনিংস খেলার পর ম্যাচ সেরা হয়ে ব্যাটিংয়ের সময় নিজের মনোভাব ফাঁস করেছিলেন রিঙ্কু। আইপিএলের অভিজ্ঞতা তাঁকে এই ম্যাচে সাহায্য করেছে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি ব্যাটিংয়ের সময় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এখানে আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাটা কাজে লেগেছে। ইনিংসের শেষেরপর্যন্ত টিকে থাকাটাই কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল।' অবশ্য ইনিংস শেষ অবধি টিকে থাকতে পারেননি তিনি। ভারতীয় ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই তাঁকে সাজঘরে ফেরান ক্রেগ ওয়াং।
সেই ম্য়াচে রুতুরাজ অর্ধশতরান করলেও, ম্যাচের রং বদলানো ইনিংসের জন্য সেরা হিসাবে রিঙ্কুকেই বেছে নেওয়া হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক ইনিংসেই সেরা উচ্ছ্বসিত তিনি নিজেও। 'আমি বিগত দশ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। প্রচুর খাটা খাটনি করেছি। এবার তারই সুফল পাচ্ছি হয়তো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ইনিংস খেলেই ম্যাচ সেরা হতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি।' জানান এই তরুণ বাঁহাতি।