কেপটাউন: ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে সেই সিরিজে ভারত জিতলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন রোহিত শর্মা। সেই সিরিজে গাব্বায় শেষ ম্যাচে ঋষভ পন্থের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। ১৯৮৮ সালের পর ব্রিসেবেনে কোনও টেস্ট ম্যাচে হারতে হয়েছিল অজিদের। গতকালের কেপটাউন টেস্টে জয়ের সঙ্গে সেই জয়ের মিল পাচ্ছেন রোহিত শর্মা। কারণ কেপটাউনে গতকালের আগে পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা কোনও টেস্ট ম্যাচ হারেনি। 


গতকাল ম্য়াচ জয়ের পর রোহিত বলেন, ''এই জয় আমাদের কাছে সত্যিই ভীষণ স্পেশাল। টেস্ট ম্য়াচ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা আগে। কিন্তু কেপটাউনে এখনও পর্য়ন্ত আমাদের জয় অধরা ছিল। কিন্তু অবশেষে আমরা পারলাম। এই জয়ের সঙ্গে ২০২১ সালে গাব্বায় টেস্ট জয়ের মিল পাচ্ছি আমি। সেবারও প্রায় ৩২ বছর পর অস্ট্রেলিয়া গাব্বায় কোনও টেস্ট হেরেছিল আমাদের বিরুদ্ধে।" উল্লেখ্য, কেপটাউন টেস্টে মাত্র ৬৪২ বল খেলা হয়। ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিলেও পিচ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভারত অধিনায়ক। হিটম্য়ান বলেন, ''এই ম্যাচে কেমন, কী পিচে খেলা হল, তা তো আমরা সকলেই দেখলাম। এই ধরনের পিচে খেলতে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনও সমস্যা নেই। তবে এরপর ভারতের পিচ নিয়ে যেন কেউ কোনও কথা বলতে না আসে। এরপর আর ভারতের পিচ নিয়ে কারুর কথা বলা মানায় না।''


এশিয়ার প্রথম কোনও দেশ হিসেবে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে হারিয়েছে ভারতীয় দল। গতকাল দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই খেলা শেষ হয়ে যায়। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্রোটিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট হারের ফলে সিরিজ যদিও জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ১-১ সিরিজ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল এবার বিরাটদের। তবে শেষ টেস্ট জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে এল ভারত। কেপটাউনে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১২ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নিয়েছে রোহিত ব্রিগেড। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাই শীর্ষে ছিল। তাদেরই টপকে শিখরে চলে গেল ভারত। কেপ টাউন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর সুবাদে ৪ ম্যাচে ৫৪.১৬ শতাংশ হারে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহে রয়েছে ২৬ পয়েন্ট। টিম ইন্ডিয়া ২টি টেস্টে জয় তুলে নেয়, ১টি টেস্ট ড্র করে এবং ১টি টেস্টে হেরে গিয়েছে। ফলে ছয় থেকে এক লাফে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের এক নম্বরে পৌঁছে যায় তারা।