হায়দরাবাদ: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান পাননি বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তবে সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় ম্যাচে (IND vs AUS 3rd T20I) ফের জ্বলে উঠলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। দুরন্ত অর্ধশতরান করলেন 'কিংগ কোহলি'। বিরাটের রানে ফেরায় খুশির মহল ভারতীয় সাজঘরে। পিঠ চাপড়ে কোহলিকে বাহবা দিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও (Rohir Sharma)।


বিরাটকে বাহবা রোহিতের


এশিয়া কাপে ভারতের শেষ ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকিয়ে ফর্মে ফিরেছিলেন কোহলি। কেটেছিল প্রায় তিন বছর দীর্ঘ শতরানের খরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তারপর প্রথম দুই ম্য়াচে আবার ব্যর্থতা। প্রথম ম্যাচে দুই এবং দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল কোহলিকে। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে চাপের মুখে অনবদ্য ৬৩ রানের (৪৮ বল) ইনিংস খেলেন কোহলি। একেবারে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে না পারলেও, ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছেই দিয়েছিলেন বিরাট। শেষ ওভারে যখন কোহলি আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন, তখনই তাঁকে পিঠ চাপড়ে বাহবা দেন রোহিত।


 






বিরাটের অর্ধশতরানে খুশি টিম ইন্ডিয়ার সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান। কিছুদিন আগেই বিরাট-রোহিতের সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। বলা হচ্ছিল ভারতের প্রাক্তন ও বর্তমান অধিনায়কের মধ্যে সম্পর্ক নাকি খুব একটা মধুর নয়। তবে আজকের এই ছবিটা সেই তত্ত্বকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। রোহিত আউট হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে মিলে কোহলির শতরানের পার্টনারশিপই কিন্তু ভারতের দিকে খেলা ঘুরিয়ে দেয়। চাপের মুখে এমন ইনিংস খেলার জন্যই আরও বেশি করে কোহলিকে সকলেই প্রশংসায় ভরাচ্ছেন।


ম্যাচের হালহকিকত


অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না। এই সিরিজে ভারতের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা, উভয়েই রান পেয়েছেন। তবে আজ দুইজনেই ব্যর্থ। প্রথম ওভারে ড্যানিয়েল স্যামসের বলে মাত্র ১ রানে ফেরেন রাহুল। রোহিত শুরুটা ভাল করলেও ১৭ রানে প্যাট কামিন্সকে পুল করতে গিয়ে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক। ৩০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ভারতীয় দল যখন চাপে পড়ে যায়, তখনই তৃতীয় উইকেটে দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন সূর্য ও বিরাট। এই দুইজনে তৃতীয় উইকেটে ভারতের হয়ে ১০৪ রান যোগ করেন। এর সুবাদেই ম্যাচে ফিরে আসে ভারত।


৩৬ বলে ৬৯ রান করে হ্যাজেলউডের শিকার হন সূর্য। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে স্যামসকে ছক্কা হাঁকালেও, পরের বলেই আউট হন কোহলি। তবে ৪৮ বলে ৬৩ রানের কোহলির ইনিংসে আগাগোড়াই তাঁর দাপট অব্যাহত ছিল। জাম্পাকে স্টেপ আউট করে ছয় হাঁকানো থেকে ফাস্ট বোলারদের পুল শট মারা, সবেতেই কোহলির ফর্মের ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল। কোহলি আউট হলে ভারতকে জেতানো বাকি কাজটা হার্দিক পাণ্ড্য করে দেন। তিনি ১৬ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এক বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত।


আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ, ভারতে এসে পড়লেন বাভুমারা