নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে খাতা খােলার সুযোগই পাননি। শূন্য রানে ফিরতে হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। মাত্র ৬৩ বলে সেঞ্চুরি হাঁকালেন হিটম্যান। এমনকী বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিকও হয়ে গেলেন রোহিত (Rohit Sharma)। তাঁর নামের পাশে এখন সাতটি সেঞ্চুরি রয়েছে। টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar)। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে বিশ্বকাপে রানের বিচারে টেক্কা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটে শতরানের ব্যাপারে রিকি পন্টিংকে (Ricky Ponting) টপকে গেলেন হিটম্যান। পন্টিংয়ের ঝুলিতে ৩০টি সেঞ্চুরি। রোহিতের ঝুলিতে এখন ৩১টি শতরান।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে শাহিদি ও আজমাতুল্লাহ জুটির দৌলতে আড়াইশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত ২৭২ রান বোর্ডে তুলে নেয় আফগানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রোহিত ও ঈশান কিষাণ। গিল না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও এই জুটিই নেমেছিলেন। সেদিন ব্য়র্থ হলেও এদিন ওপেনিং পার্টনারশিপে ১৫৬ রান তোলে ভারত। ঈশান ৪৭ রানে ফিরে গেলেও রোহিতকে থামাতে পারেননি আফগান বোলাররা। বিধ্বংসী মেজাজে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট করে মাত্র ৬৩ বলে শতরান পূরণ করেন ভারত অধিনায়ক। প্রথমে মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শতরান হাঁকানোর নজির গড়েন রোহিত। ওপেনারদের মধ্যে সর্বাধিক ৪৫টি শতরান হাঁকিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন রোহিত ২৯টি শতরান হাঁকিয়ে। 


বিশ্বকাপে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক রান সচিন তেন্ডুলকরের। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২২৭৮ রান। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলি (১১১৫)। তৃতীয় স্থানে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ১০০৬ রান করে। তাঁকে এদিন টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন রোহিত। 


আইপিএলের (IPL) সময় তাঁর সঙ্গে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) বিবাদ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket Team)। এমনকী, কোহলির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গৌতম গম্ভীরও। যিনি লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন। যে দলের হয়ে আইপিএল খেলেন নবীন উল হক (Naveen Ul Haq)। বুধবার সেই কোহলির শহর নয়াদিল্লিতে ম্যাচ খেলছেন নবীন। আর কোহলির শহরে নেমে গ্যালারির বিদ্রুপের শিকার হলেন আফগান ক্রিকেটার।আফগানিস্তান ইনিংসের ৪৯তম ওভার। ওভারের প্রথম বলেই রশিদ খানকে ফেরালেন বুমরা। তারপরই ক্রিজে নামেন নবীন। তাঁকে দেখা মাত্রই গ্যালারি থেকে গর্জন উঠল, 'কোহলি, কোহলি'।