মুম্বই: রোহিত শর্মা কি সুস্থ? যদি ফিট না হন, তাহলে আইপিএল ফাইনাল খেললেন কী করে? আর যদি সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন, তাহলে দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া না গিয়ে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (এনসিএ) রিহ্যাবিলিটেশন করছেন কেন?

রোহিতকে নিয়ে বিতর্কে তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং এবং লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে বোর্ডের খোলনলচে পাল্টে যাওয়া পরবর্তী অধ্যায়ে এত বড় বিতর্ক ভারতীয় ক্রিকেটে আর তৈরি হয়নি। যেখানে একদিকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায়ই একই মেরুতে জাতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর কোচ রবি শাস্ত্রী। আর অন্য প্রান্তে রোহিত শর্মা। মাঝখানে একরাশ ধোঁয়াশা। পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে যে ধোঁয়াশা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং তা আরও জমাট বেঁধেছে।

ঠিক কী হয়েছে রোহিত শর্মাকে কেন্দ্র করে? বিশদে জানতে ফিরে যেতে হবে সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে। ত্রয়োদশ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পঞ্চমবারের জন্য ট্রফি উঠেছে রোহিতের হাতে। তবে টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে রোহিতের খেলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ১৮ অক্টোবর আইপিএলের গ্রুপ পর্বে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মুম্বই শিবির থেকে জানানো হয়, রোহিতের বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান (হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেন) লেগেছে। আইপিএলে পরের ৪টি ম্যাচ খেলতে পারেননি রোহিত। তাঁর অনুপস্থিতিতে মুম্বইকে নেতৃত্ব দেন কায়রন পোলার্ড।

এরই মাঝে ২৬ অক্টোবর ছিল অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতের দল নির্বাচনী বৈঠক ছিল। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর টিম ইন্ডিয়ার ফিজিও নীতিন পটেল বোর্ড ও নির্বাচকদের কাছে রোহিতের চোট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন। সূত্রের খবর, রোহিতের চোট পাওয়া হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, লিগামেন্ট ছিঁড়েছে। রোহিতকে অন্তত ২-৩ সপ্তাহ এবং সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রত্যাশা মতোই অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি, কোনও দলেই রোহিতকে রাখা হয়নি। যা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সফর চলাকালীন রোহিতের চোট না সারা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিলেন নির্বাচকেরা। একটি বিবৃতিতে বোর্ড জানিয়েছিল, রোহিত ও ইশান্ত শর্মার চোট পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে তাদের মেডিক্যাল টিম। রোহিতের অনুপস্থিতিতে কে এল রাহুলকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তবে বিতর্কের মেঘ ঘনীভূত হয় ২৬ অক্টোবরই। সেদিনই একটি ভিডিও পোস্ট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জানায় যে, নেটে ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছেন রোহিত। গোটা ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর। তিনি দাবি তুলেছিলেন, রোহিতের চোট নিয়ে আরও স্বচ্ছতা অবলম্বন করা হোক। পরে জাতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী বলেন, সতর্ক না হলে ফের চোট লাগতে পারে রোহিতের। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি জানিয়েছিলেন, নিশ্চিতভাবেই চোট রয়েছে রোহিতের। তিনি বলেছিলেন, ‘চোট না থাকলে কেন রোহিতের মতো প্লেয়ারকে বাইরে রাখা হবে?’ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পোস্ট করা ভিডিও প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছিলেন, ‘কেউই চাইবে না রোহিতের আবার চোট লাগুক। ওর হ্যামস্ট্রিংয়ে একটা টিয়ার আছে আর সেটা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাহলে মাঠে ফিরে আসতে আরও বেশি সময় লেগে যাবে। বোর্ড ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিজিও দেখছে বিষয়টা। রোহিতও জানে ওর সামনে শুধু আইপিএল বা পরের সিরিজ নয়, লম্বা কেরিয়ার পড়ে রয়েছে। আমি নিশ্চিত ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট পরিণত।’

সৌরভ যেদিন এই মন্তব্য করেন, সেদিনই সকলকে চমকে দিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাঠে নেমে পড়েন রোহিত। সকলকে হতবাক করে দিয়ে। টসের সময়ে, ম্যাচের শেষে, দুবারে রোহিত জানান যে, তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে কোনও সমস্যা নেই। মাঠে ফিরে তাঁর ভালই লাগছে।

এরপর ৯ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় রোহিতকে। ১২ নভেম্বর দলের সঙ্গেই দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার কথা ছিল তাঁর। যদিও যাননি রোহিত। বিতর্কে কার্যত ঘৃতাহুতি দিয়ে ভারতে ফিরে আসেন। যা নিয়ে ফের দানা বাঁধে বিতর্ক। সৌরভ জানান, রোহিত ৭০ শতাংশ ফিট। প্রশ্ন ওঠে, ৭০ শতাংশ ফিট হলে রোহিত কী করে আইপিএলের চূড়ান্ত পর্বে খেললেন? কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেন যে, তাহলে কি ফ্র্যাঞ্চাইজির চাপে রোহিতের ফিটনেস নিয়ে আপস করেছে বোর্ড! কেন রোহিতকে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হল না বোর্ডের তরফে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকে। পাশাপাশি পুরো ফিট না জেনেও রোহিত কেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার ঝুঁকি নিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রোহিতের ভূমিকা নিয়েও কেউ কেউ সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। উঠে পড়েছে ক্লাব বনাম দেশের সেই পুরনো প্রসঙ্গ। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কোথাও ক্রিকেটার ও বোর্ডের মধ্যে যোগসূত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!

১৯ নভেম্বর বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে গিয়ে রিহ্যাব শুরু করেন রোহিত। তিনি জানান, হ্যামস্ট্রিং ঠিক আছে তবে আরও একটু পরিচর্যা দরকার। পাশাপাশি রোহিত বলেন, ‘জানি না চারপাশে কী নিয়ে এত চর্চা চলছে। তবে একটা কথা সাফ বলে দিই, আমি বোর্ড ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে টানা যোগাযোগ রেখে চলেছি।’ সেই সঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পাশে দাঁড়িয়ে রোহিত বলেন, ‘আমি দলকে বলেছিলাম যে মাটে নামতে তৈরি। আইপিএল মাত্র ২০ ওভারের খেলা আর তাতে আমি মানিয়ে নিতে পারব। একবার মনস্থির করে ফেলার পর শুধু কী কী করতে হবে তাতে মনোনিবেশ করেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন,  ‘হ্যামস্ট্রিং ঠিক আছে। শুধু সেটা আরও শক্তিশালী করে তোলার পদ্ধতি চলছে। লম্বা ফর্ম্যাটে নামার আগে কোনও খামতি যাতে না থেকে যায়, তা নিশ্চিত করে নিতে চাই। সে জন্যই আমি এনসিএ-তে এসেছি।’

যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ শুরুর আগে সকলকে চমকে দেয় কোহলির মন্তব্য। ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘দুবাইয়ে দল নির্বাচনী বৈঠকের দুদিন আগে আমরা একটা মেল পাই। সেখানে জানানো হয় যে, রোহিতকে পাওয়া যাবে না কারণ আইপিএলে ওর চোট লেগেছে। সেখানে উল্লেখ করা ছিল যে দু সপ্তাহ ওকে বিশ্রাম আর রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। চোটের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ওকে বিশদে জানানো হয়েছিল বলেও মেলে উল্লেখ করা ছিল। তারপর দেখলাম ও আইপিএল খেলল। আমরা জানতাম ও অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে উঠবে। সেটা শেষ পর্যন্ত ওঠেনি। কেন ও দলের সঙ্গে আসেনি, তা নিয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’ কোহলিকে গোটা প্রসঙ্গে বেশ বিরক্তই দেখিয়েছে।



পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে রোহিতের এনসিএ-তে যাওয়া নিয়েও। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী চোট পাওয়া ক্রিকেটারদের রিহ্যাবের জন্য এনসিএ-তেই যাওয়ার কথা। তবে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া ঋদ্ধিমান সাহা দলের সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়া গিয়েছেন। সেখানেই তাঁর রিহ্যাব চলছে। বলা হচ্ছে, ঋদ্ধিমান আর রোহিত, দুজনের জন্য দুরকম পথ কেন অবলম্বন করছে বোর্ড।

জাতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী বলে রেখেছেন, ৪-৫ দিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে না উঠলে টেস্ট সিরিজে রোহিতের খেলা কঠিন। যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। রোহিতের টেস্ট সিরিজে খেলা নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। বিতর্ক মেটার কোনও লক্ষণ এই মুহূর্তে অন্তত দেখতে পাচ্ছেন না ওয়াকিবহাল মহলের কেউই। একমাত্র ভরসা এখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক যদি বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজে উদ্যোগী হয়ে মধ্যস্থতা করতে আসরে নামেন, তাহলেই হয়তো রোহিতের চোট নিয়ে ধন্দের অবসান ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিতর্কের সাতকাহন

  • ১৮ অক্টোবর। আইপিএলের গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। সেই ম্যাচে চোট পান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মুম্বই শিবির থেকে জানানো হয়, রোহিতের বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান (হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেন) লেগেছে। আইপিএলে পরের ৪টি ম্যাচ খেলতে পারেননি রোহিত। তাঁর অনুপস্থিতিতে মুম্বইকে নেতৃত্ব দেন কায়রন পোলার্ড।

  • ২৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতের দল নির্বাচনী বৈঠক ছিল। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর টিম ইন্ডিয়ার ফিজিও নীতিন পটেল বোর্ড ও নির্বাচকদের কাছে রোহিতের চোট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন।

  • সূত্রের খবর, চূড়ান্ত রিপোর্টটি জমা দেওয়ার আগে তিনজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ফিজিও নীতিন পটেল। রোহিতের চোট পাওয়া হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, লিগামেন্ট ছিঁড়েছে। রোহিতকে অন্তত ২-৩ সপ্তাহ এবং সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, একজন চিকিৎসক নাকি এমনও বলেছিলেন যে, প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করাতে হতে পারে রোহিতকে।

  • ২৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া সফরের দল ঘোষিত হয়। টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি, কোনও দলেই রোহিতকে রাখা হয়নি। যা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সফর চলাকালীন রোহিতের চোট না সারা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিলেন নির্বাচকেরা। একটি বিবৃতিতে বোর্ড জানিয়েছিল, রোহিত ও ইশান্ত শর্মার চোট পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে তাদের মেডিক্যাল টিম।

  • রোহিতের অনুপস্থিতিতে কে এল রাহুলকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সহ অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ বলেন, রোহিতের চোট সারবে না ধরে নিয়েও তাহলে কেন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছিল! ওয়ান ডে সিরিজ শুরু যেখানে ২৭ নভেম্বর, সেখানে সহ অধিনায়কের নাম ঘোষণা করার আগে আরও কিছুদিন কেন অপেক্ষা করা হল না!

  • ২৬ অক্টোবরই একটি ভিডিও পোস্ট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জানায় যে, নেটে ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছেন রোহিত। গোটা ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর। তিনি দাবি তুলেছিলেন, রোহিতের চোট নিয়ে আরও স্বচ্ছতা অবলম্বন করা হোক।

  • ১ নভেম্বর জাতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী বলেন, সতর্ক না হলে ফের চোট লাগতে পারে রোহিতের।

  • ৩ নভেম্বর সংবাদসংস্থাকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, অবশ্যই চোট রয়েছে রোহিতের। তিনি বলেছিলেন, ‘চোট না থাকলে কেন রোহিতের মতো প্লেয়ারকে বাইরে রাখা হবে?’

  • মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পোস্ট করা নেটে রোহিতের ব্যাটিং প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছিলেন, ‘কেউই চাইবে না রোহিতের আবার চোট লাগুক। ওর হ্যামস্ট্রিংয়ে একটা টিয়ার আছে আর সেটা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাহলে ফিরে আসতে আরও বেশি সময় লেগে যাবে। বোর্ড ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ফিজিও দেখছে বিষয়টা। রোহিতও জানে ওর সামনে শুধু আইপিএল বা পরের সিরিজ নয়, লম্বা কেরিয়ার পড়ে রয়েছে। আমি নিশ্চিত ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট পরিণত।’

  • ৩ নভেম্বর সৌরভ যেদিন এই প্রতিক্রিয়া দেন, সেদিনই সকলকে চমকে দিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে ফেরেন রোহিত। দলকে নেতৃত্বও দেন। ম্যাচের পর রোহিত নিজে জানান, তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে কোনও সমস্যা নেই। মাঠে ফিরে তাঁর ভাল লাগছে বলেও জানান।

  • ৯ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত হন রোহিত।

  • আইপিএলের প্লে অফ ও ফাইনাল খেলেন রোহিত। ১২ নভেম্বর দলের সঙ্গেই দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার কথা ছিল রোহিতের। যদিও তিনি যাননি। ১১ নভেম্বর ভারতে ফিরে আসেন। যা নিয়ে ফের দানা বাঁধে বিতর্ক।

  • ১৩ নভেম্বর সৌরভ জানান, রোহিত ৭০ শতাংশ ফিট।

  • ১৯ নভেম্বর বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে গিয়ে রিহ্যাব শুরু করেন রোহিত।

  • ২১ নভেম্বর রোহিত জানান, তাঁর হ্যামস্ট্রিং ঠিক আছে তবে আরও একটু পরিচর্যা দরকার।

  • ২২ নভেম্বর রবি শাস্ত্রী বলেন, ৪-৫ দিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে না উঠলে টেস্ট সিরিজে রোহিতের খেলা কঠিন।