জয়পুর: সকালটা দেখেই বোঝা যায় যে বাকি দিনটা কেমন যাবে। এদিন গুজরাত টাইটান্সের বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখেই আন্দাজ করা গিয়েছিল যে এদিনের ম্যাচটা রাজস্থানের জন্য খুব একটা সুখকর হবে না। হলও তাই। মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা হেসেখেলে পৌঁছে গেল গুজরাত শিবির। মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল রাজস্থান রয়্যালস। 


রাজস্থানের ১১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে গুজরাত টাইটান্স শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করে। ওপেনে ঋদ্ধিমান সাহা ও গিল নেমেছিলেন। দু জনে মিলেই ওপেনিংয়ে নেমে ভাল শুরু করেন। গিল ৩৬ রান করে আউট হন। ৩৪ বলে ৪১ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। হার্দিক পাণ্ড্য আরও মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করেন। তিনি ১৫ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পাণ্ড্য। তিনি নিজের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। 


রাজস্থান বোলাররা কেউই এদিন সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। ৩.৫ ওভারে ২২ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। এছাড়া আর কেউই কোনও উইকেট পাননি। রাজস্থানের ওপেনিং বোলার ট্রেন্ট বোল্ট কোনও উইকেন পাননি।


ঘরের মাঠে খেলা। চেনা পরিবেশ, চেনা পিচ, চেনা সমর্থকদের সমর্থন। কিন্তু তারপরও গুজরাতের বোলিং লাইন আপের সামনে নিজেদের মেলে ধরতে পারলেন না গুজরাত বোলারদের সামনে। আরও একবার ব্যর্থ হলেন জস বাটলার। ফর্মে থাকা জয়সওয়ালের ব্য়াটও চলল না। ভাল শুরু করেও রান পেলেন না সঞ্জু স্যামসন। মাত্র ১১৭ রানে অল আউট হয়ে গেল রাজস্থান শিবির। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ওপেনে নেমেছিলেন জয়সওয়াল ও বাটলার। ১১ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেন জয়সওয়াল। নিজের ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। বাটলার ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সঞ্জু স্যামসন ২০ বলে ৩০ রান করে ভাল শুরু করেও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কিন্তু মিডল অর্ডার পুরো ব্যর্থ হয় এদিন। যার জন্য মাত্র ১১৭ রানে শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের ইনিংস। 


গুজরাত বোলারদের মধ্যে রশিদ খান সর্বাধিক ৩ উইকেট পান রশিদ খান। ২টো উইকেট নেন নুর আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন হার্দিক, শামি ও লিটল।