বেঙ্গালুরু: আজ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কুয়েতের (IND vs KUW) বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারতীয় ফুটবল দল (Indian Football Team)। গ্রুপ পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে ইনজুরি টাইমে ১-১ ড্র করেছিল ব্লু টাইগার্সরা। তবে সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan) কিন্তু দলের জয়ের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী।


তিনি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচটায় কিন্তু বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। ওরা দারুণ দল। ওদের কোচও বেশ অভিজ্ঞ। দলের সকলেই টেকনিক্যালি খুব ভাল। আর ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে (১৪১) ওরা যেখানে রয়েছে, সেখানে যে থাকার কথা নয়, সেটা সবাই জানে। ১০ সেকেন্ডও যদি আমার মনযোগ হারাই, তাহলে কিন্তু গোল হজম করতে হবে। তবে আমরাও এই ম্যাচে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আমরা দলগতভাবে ভালই পারফর্ম করেছি এবং আমার মতে এই দলের আরও অনেক সাফল্য লাভ করব।'


দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় সেমিফাইনালে লেবাননের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি সন্দেশ ঝিঙ্গান। কিন্তু ফাইনালে একাদশে ফিরবেন ঝিঙ্গান। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভারতের তারকা ডিফেন্ডার। তিনি বলেন, 'আমি (লেবাননের বিরুদ্ধে) মাঠে নামাটা খুব মিস করেছি। আমি বড় ম্যাচে মাঠে নামার জন্য সবসময়ই মুখিয়ে থাকি। তবে আমাকে কিন্তু দল খুব একটা মিস করেনি, ওরা ভাল পারফরম্যান্স করেছে। মেহতাব সিংহ, আনোয়ার আলিরা দারুণভাবে ডিফেন্ড করেছেন। গোটাটাই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেকার বোঝাপড়ার ওপর নির্ভরশীল। আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের ফাইনালে পৌঁছনোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।'


তিনি দলের সাফল্যের জন্য কোচেদেরও প্রশংসা করতে ভোলেননি। ঝিঙ্গানের মতে, 'এক নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় খেলা হলে খেলোয়াড়দের থেকে সেরাটা পাওয়া যায়। তাই এই বিষয়ে কোচেদেরই বাহবা প্রাপ্য। মহেশ ভাই (গাউলি) ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ছিলেন। ওঁ আমাদের সকলের আদর্শ। ওঁর সঙ্গেই আমরা রোজ কাজ করছি। তাই আমরা যদি ভাল পারফর্ম করছি বলে কারুর মনে হয়, তাহলে তাঁর কৃতিত্বটা মহেশ ভাইয়ের। ওঁ যে ছোট ছোট ইনপুটগুলি দেয়, সেগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা যে পরিকল্পনায় খেলছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি খেলি না খেলি, সেই পরিকল্পনা তো একই থাকে। ফলে খেলোয়াড়দেরও সুবিধা হয় এবং মজবুত ভিতের কারণে পারফরম্যান্সও ভাল হয়।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: মাকড়ের কামড় ! সময় থাকতে চিকিৎসা না হলেই প্রাণঘাতী হতে পারে স্ক্রাব টাইফাস