বেঙ্গালুরু: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিতে ওঠার দৌড় আরও একধাপ এগিয়ে গেল লেবানন। আজ ভূটানকে তারা হারিয়ে দিল ৪-১ গোলে। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভারা স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল লেবানন। আর প্রথম অর্ধেই ভূটানের থেকে ম্যাচের রেশ কেড়ে নেন লেবানন। খেলার প্রথম ৪৫ মিনিটের মধ্য়েই ৪টি গোল হজম করতে হয় ভূটানকে। দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোলশোধ করে ভূটান। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-তে শীর্ষে চলে গেল লেবানন। আগামী ২৮ জুন মলদ্বীপের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা।
এদিন খেলার ১১ মিনিটের মাথায় মহম্মদ সাদেকের গোলে এগিয়ে যায় লেবানন। এরপর ২৩ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলটি করেন আলি আই হজ। ৩৫ মিনিটের মাথায় খালিল বাদেরের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লেবানন। প্রথমার্ধে বাঁশি বাঁজার আগে ৪৩ মিনিটের মাথায় মাহদির গোলে ৪-০ হয় যায় স্কোরলাইন। দ্বিতীয়ার্ধে ৭৯ মিনিটের মাথায় একটি মাত্র গোলশোধ করে ভূটান। তাতে অবশ্য লেবাননের জয় আটকায়নি।
এদিকে অন্য খেলায়, মলদ্বীপের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ স্কোরলাইনে দুরন্ত জয় পেয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চারে পৌঁছনোর আশা টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ ফুটবল দল (Bangladesh vs Maldives)।
গ্রুপ 'বি'-র ম্য়াচে হামজা মহম্মদ ম্যাচের ১৭ মিনিটে মলদ্বীপকে এগিয়ে দেন। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই ৪২ মিনিটে রাকিব হোসেন গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান। ১-১ স্কোরলাইনে প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটে তারিখ কাজি গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের ৯০তম মিনিটে শেখ মোরসালিন বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন।
মরণ বাঁচন ম্যাচে বাংলাদেশের খেলায় শুরুর দিকে কিন্তু তেমন মরিয়া ভাব চোখে পড়েনি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে মলদ্বীপ ম্যাচে এগিয়ে যায়। এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেই বাংলাদেশ ফুটবলাররা তেড়েফুড়ে উঠে আক্রমণ শুরু করেন। রাকিবের হাত ধরেই বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার লড়াইটা শুরু করে। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে। ফ্রি-কিক থেকে রাকিবের হেডে ম্যাচে সমতায় ফেরে ওপার বাংলার দল। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় রাখেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধে কর্নার থেকে মলদ্বীপ রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই কাজি বাংলাদেশকে ম্যাচে এগিয়ে দেন। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে মলদ্বীপ ফুটবলাররা কিছুটা আশাহতই হয়ে পড়েন। অপরদিকে, বাংলাদেশ ফুটবলাররা আরও গোলের খোঁজে নিজের আক্রমণ অব্যাহত রাখেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে লাভবানও হয় বাংলাদেশ। শরিফকে বোকা বানিয়ে শেখ মোরসালিন জোরালো শটে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে জয় সুনিশ্চিত করেন।