হায়দরাবাদ: বয়স মাত্র ৩১। এই বছরে যে কোনও ক্রীড়াবিদ তাঁর ফর্মের শিখরে থাকেন সাধারণত। কিন্তু এই বয়সেই আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন কেরিয়ারকে বিদায় জানালেন সাই প্রণীথ (Sai Praneeth)। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে এই ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারের। সূত্রের খবর, এবার যুক্তরাষ্ট্রে নিজের কোচিং কেরিয়ার গড়তে চান প্রণীথ (Sai Pranneth)। টোকিও অলিম্পিক্সের পর থেকেই চোট আঘাতে বারবার ভুগতে হচ্ছিল প্রণীথকে। তাই নিজের খেলােয়াড় জীবন আর দীর্ঘায়িত করতে চাননি হায়দরাবাদি শাটলার। ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুর ওপেন জিতেছিলেন সাই।


অবসরবেলায় নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন সাই। তিনি লিখেছেন, ''মিশ্র একটা অনুভূতি নিয়েই আমি জানাচ্ছি যে আমি আন্তর্জাতিক ব্য়াডমিন্টন থেকে অবসরগ্রহণ করলাম। গত ২৪ বছর ধরে এই খেলাটি আমার জীবনে সবকিছু ছিল। আমার সব ভক্তদের জন্য বলতে চাই যে, আপনাদের প্রতিনিয়ত সমর্থন আমার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল। প্রতিটা চিৎকার ও প্রতিবার জাতীয় পতাকা যখন উড়তে দেখতাম, নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যেত। আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হতাম।''


 






আপাতত যা খবর কোচ হিসেবে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন প্রণীথ। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিতে কোচিং স্টাফ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন তিনি। প্রণীথ নিজেই জানিয়েছেন, ''আমি হয়ত এপ্রিলের মাঝামাঝি সেই ক্লাবে যোগ দেব। ক্লাবের হেডকোচ হিসেবেই যোগ দিচে চলেছি। তাই আমাকে সব প্লেয়ারকে দেখতে হবে। অবশ্যই, যখন ওখানে থাকব, তখন পুরো বিষয়টা নিয়ে বলতে পারব।''


গত দু দশকে একাধিক টুর্নামেন্টে জিতেছেন প্রণীথ। কিন্তু ২০১৭ সিঙ্গাপুর ওপেন সিরিজ জয় ও ২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ খেতাব উল্লেখযোগ্য। সাইনা নেহওয়াল, কিদম্বী শ্রীকান্ত ও পিভি সিন্ধুর পর চতুর্থ ভারতীয় শাটলার হিসেবে সুপার সিরিজ জেতেন সাই। কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং ছিল প্রণীথের ১০। টোকিও অলিম্পিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য়বশত সবাইকে হতাশ করন তিনি। গ্রুপ পর্ব থেকেই সব ম্য়াচ হেরে ছিটকে যান প্রণীথ। কেরিয়ারের শেষ পর্বে গোপীচাঁদের অ্য়াকাডেমির ছাত্র ছিলেন প্রণীথ। ২০১৯ সালে অর্জুন পুরস্কার সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন হায়দরাবাদের এই শাটলার।