নয়াদিল্লি: ভারতের সব মেয়েকেই খেলায় উৎসাহ দেওয়ার আবেদন জানালেন সাক্ষী মালিকের বাবা-মা। তাঁদের আশা, রিও অলিম্পিকে সাক্ষীর অসাধারণ কৃতিত্ব দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

সাক্ষীর বাবা সুবীর মালিক বলেছেন, ‘যে কোনও কাজে বাবা-মায়ের সমর্থন খুব দরকার। আমরা সবসময় সাক্ষীকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। যারা প্রথমে ওর সমালোচনা করত, কমনওয়েলথ গেমস এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জেতার পর তারাই এসে আমাদের বলেছিল আমাদের ভাবনা ঠিক ছিল। আমরা চাইব অন্য মেয়েরা সাক্ষীকে দেখে অনুপ্রেরণা পাক। যে বাবারা তাঁদের মেয়েকে খেলতে দিতে চান না, তাঁদের কাছে সাক্ষী উদাহরণ হতে পারে। মেয়েদের খেলার জগতে আসা উচিত। হরিয়ানা সরকারও মেয়েদের খেলায় উৎসাহ দিচ্ছে।’

 

সাক্ষীর ঠাকুর্দাও কুস্তিগির ছিলেন। ফলে ছোট থেকেই খেলার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতেন তিনি। ঠাকুর্দাকে দেখেই কুস্তি লড়তে শুরু করেন সাক্ষী। দেশকে পদক এনে দিয়ে তিনি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। সাক্ষীর বাবা চাইছেন, ২০২০ টোকিও অলিম্পিকেও যোগ দিন তিনি।

 

সাক্ষীর মা সুদেশ মালিক বলেছেন, ‘প্রথমে অনেকেই আমাদের বলত, মেয়েকে কুস্তি লড়তে দেওয়া উচিত নয়। অনেক পরিশ্রম করতে হত সাক্ষীকে। কিন্তু আমি সবসময় ওর পাশে থেকেছি। পরে পরে ও যখন পদক জিততে শুরু করল তখন লোকে চুপ করে গেল। যে বাবা-মায়েরা মেয়েদের খেলতে দেওয়ার বিরোধী, তাঁদের উদ্দেশে আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেটি বাঁচা, বেটি পড়াও স্লোগান একধাপ এগিয়ে এখন হয়েছে বেটি খেলাও সাক্ষীকে দেখে ভারতের আরও অনেকেরই খেলার জগতে এসে ভাল পারফরম্যান্স দেখানো উচিত।’

 

সাক্ষীর গর্বিত বাবা-মা বলছেন, তাঁরা রিও অলিম্পিকে পদকের বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পদক জয়ের দাবিদার বলে উল্লেখ করেছিলেন। আশাপূরণ করেছেন সাক্ষী। তাঁর কাছ থেকে পরের অলিম্পিকে সোনা চাইছেন বাবা-মা।