কলকাতা: রাজস্থানকে (Rajasthan) ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলা (Bengal)। জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক ফারদিন আলি মোল্লা (Fardin Ali Molla)। অপর গোলটি করেন সুজিৎ সিংহ (Sujit Singh)। এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল বাংলা। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের সেরা কেরল (Kerala)। 


মরণ-বাঁচন ম্যাচে সহজ জয় বাংলার


সেমিফাইনালে যেতে হলে আজকের ম্যাচ জিততেই হত বাংলাকে। ড্র করলেও শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ থাকত মনোতোষ চাকলাদার, মহীতোষ রায়দের সামনে। তবে সেক্ষেত্রে মেঘালয়-পাঞ্জাব ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। বাংলার ফুটবলাররা অবশ্য সেসব হিসেব-নিকেশের মধ্যে না গিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপান। বেশিরভাগ সময়ই খেলা হচ্ছিল রাজস্থানের অর্ধে। প্রথমার্ধে একের পর এক সহজ সুযোগ তৈরি করেও, গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলা। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয়। 


দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল বাংলার


দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর বেশি সুযোগ নষ্ট হয়নি। ৪৬ মিনিটে রাজস্থানের এক ডিফেন্ডার বক্সের মধ্যে ফারদিনকে পিছন থেকে বাধা দেওয়ায় পেনাল্টি পায় বাংলা। গোল করতে ভুল করেননি ফারদিন। তিনিই ৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাঁর এই গোলটি দর্শনীয়। বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে এক সতীর্থের জোরাল শট ফিরে আসার পর সেই বলটি জালে জড়িয়ে দেন ফারদিন। তিনি যেভাবে খেলছিলেন, তাতে হ্যাটট্রিক পেতেই পারতেন। কিন্তু হয়তো সেমিফাইনালের কথা ভেবেই চোট এড়াতে এই তরুণ ফুটবলারকে তুলে নেন বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এরপর ৮০ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় তথা শেষ গোল পায় বাংলা। এই গোলটি করেন সুজিৎ। 


তিন গোলে জিতলেও, দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ গুটিয়ে যাওয়া এবং রক্ষণে কিছুটা অগোছালো ভাব তৈরি হওয়া বাংলা শিবিরকে চিন্তায় রাখতে পারে। আত্মতুষ্টি যাতে দলকে গ্রাস না করে, সেদিকে নজর রাখতে হবে বাংলার কোচকে।