মারগাও: গতবারের মতোই এবারও এখনও পর্যন্ত আইএসএল-এ এসসি ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স একেবারেই ভাল না। প্রথম চার ম্যাচে পয়েন্ট সাকুল্যে মাত্র দুই। তার মধ্যে এটিকে মোহনবাগান, ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে পরপর দু’টি ম্যাচে হার। প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র সঙ্গে ১-১ এবং গতকাল চেন্নাইয়ান এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। গতকালের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শুধু সমালোচকদেরই না, নিজেদের দলের প্রধান কোচ হোসে ম্যানুয়েল দিয়াজকেও জবাব দিয়েছেন শুভম সেন, হীরা মণ্ডল, মহম্মদ রফিকরা। কারণ, স্বয়ং কোচই তাঁর দলের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, আইএসএল-এ তাঁর দলের একটিও ম্যাচ জেতার ক্ষমতা নেই। গতকাল জিততে না পারলেও, যে লড়াই করেছেন লাল-হলুদ জার্সিধারীরা, তা আশা জাগাচ্ছে।


ম্যাচের পর তরুণ লেফট ব্যাক হীরা বললেন, ‘আমাদের দলের পারফরম্যান্স যেরকম ছিল, তাতে ম্যাচটা জিতলে আরও খুশি হতাম। কারণ, আগের তিনটে ম্যাচ খুব বাজে গেছে। আমাদের এই ম্যাচটা জিততে হত। আমাদের খুবই বাজে ফল হয়েছে। অনেকে অনেক কথা বলছে। সমর্থকরাও খুব হতাশ যে আমরা ভাল ফল করতে পারছি না। আমাদের নিজেদের প্রমাণ করার দিন ছিল। গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। না হলে জিততে পারতাম। তবে এক পয়েন্ট যে পেয়েছি সেটাও অনেক। ম্যাচটা হারলে আরও খারাপ হত। এক পয়েন্ট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’


৭ তারিখ এফসি গোয়ার সঙ্গে পরের ম্যাচ। তার আগে এই এক পয়েন্ট দলকে কতটা উদ্দীপ্ত করবে? হীরা বললেন, ‘আমরা টানা হেরে আসছি, ড্র করছি। গত ম্যাচ ৪-৬ গোলে হেরেছি। সেই ধাক্কা কাটিয়ে এক পয়েন্ট পেয়েছি। ম্যাচটা আমরা হারিনি, জিততেও পারতাম। এটা গোয়া ম্যাচে আমাদের অনুপ্রেরণা দেবে। আমরা তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে খেলতে নামব।’


আইএসএল-এ প্রথমবার খেলছেন। এই প্রথম ম্যাচের সেরা হলেন। এই পুরস্কার নিজের মাকে উৎসর্গ করছেন হীরা। তিনি বাঁ হাত মায়ের ট্যাটু দেখিয়ে বললেন, ‘মায়ের আশীর্বাদ না থাকলে এটা সম্ভব হত না। পরের ম্যাচগুলিতে আরও ভাল খেলতে চাই।’