ঢাকা: বাংলাদেশে সেকেন্ড ডিভিশনের একটি ৫০ ওভারের ম্যাচে রানের বন্যা। দু’দল মিলিয়ে করল মোট ৮১৮ রান। মোট ৪৮টি ছক্কা ও ৭০টি বাউন্ডারি মারলেন দু’দলের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায়ই গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। ফলে এই ম্যাচ নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত সৈয়দ আলি আসাফও সন্দিহান। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা খুব অস্বাভাবিক ঘটনা। আমি অনেক বছর ধরে ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। আমি এর আগে কোনওদিন এই ধরনের খেলা দেখিনি।’


এই ম্যাচটি ছিল নর্থ বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট অ্যাকাডেমির। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪৩২ রান করে নর্থ বেঙ্গল। এই দলটির ব্যাটসম্যানরা ২৭টি ছক্কা মারেন। জবাবে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করেই থেমে যায় ট্যালেন্ট হান্ট। তারা ২১টি ছক্কা মারে।

এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের একটি ম্যাচে দলকে হারানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচুর নো ও ওয়াইড বল করে ৯২ রান দেওয়ায় ১০ বছরের জন্য নির্বাসিত হন এক বোলার। তাঁর দলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদেই ওই বোলার ইচ্ছাকৃতভাবে নো ও ওয়াইড বল করেন।

ঢাকা লিগের সেকেন্ড ডিভিশনের একটি ম্যাচেও গড়াপেটার ছায়া। অ্যাক্সিওমের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম ওভারেই ১৩টি ওয়াইড ও তিনটি নো বল করেন লালমাটিয়ার এক বোলার। প্রতিটি বলই বাউন্ডারির বাইরে যায়। চারটি বৈধ বল হতেই ৯২ রানে পৌঁছে যায় অ্যাক্সিওম। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লালমাটিয়া ১৪ ওভারে ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে চার বলেই ম্যাচ জিতে যায় অ্যাক্সিওম।

গত বছর বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিকাংশ ম্যাচের ফলই আগে থেকে ঠিক হয়ে থাকে। শাকিবের এই অভিযোগ সমর্থন করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, বিসিবি-তে দুর্নীতির শিকড় গভীরে।