জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে মা মানে গোটা জগৎ। মায়ের ভালবাসা সকল সন্তানই পায়। কথায় আছে, কুসন্তান যদি বা হয়, কুমাতা কখনও নয়। মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভীষণ মধুর আর গভীর।’
মাকে নিয়ে নানা স্মৃতিও ভাগ করে নিয়েছেন বীরু। বলেছেন, ‘আমার মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা, যখন ভোর ৪টেয় উঠে মা আলুপরোটা রান্না করতেন। তারপর আমাকে তুলে খাইয়ে দিতেন। তারপর কিটব্যাগ গুছিয়ে দিতেন এবং বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে আসতেন। কোচিংয়ের জন্য আমার যে একশো টাকা মাইনে লাগত, গোটা পরিবারের সঙ্গে লড়াই করে সেটা আমাকে দিতেন মা।’
সহবাগ যোগ করেছেন, ‘একটা গল্প মনে পড়ছে। ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলতে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলাম, একটা বিজ্ঞাপন হয়েছিল যে, সহবাগের মায়ের ফোন এসেছে। সকলে ওই বিজ্ঞাপনটা দেখে খুশি হতেন। বলাবলি হতো, এবার সহবাগের মায়ের ফোন এসে গিয়েছে। এবার বীরু ছক্কা মার। এটা শুধু মায়েরাই পারে। মা বাড়ির সকলের ভূমিকা পালন করতে পারে, যেটা পরিবারের আর কেউ পারে না।’
ক্রিকেটবিশ্ব তাঁকে চিনত নজফগড়ের নবাব হিসাবে। বীরু বলেছেন, ‘আমি মাকে ঈশ্বর মনে করি। ঈশ্বরের পুজো করলেও হয়তো তাঁর দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মাকে রোজ দেখা যায়। ভালবাসা পাওয়া যায়।’ তাঁর আহ্বান, ‘আসুন মাতৃদিবসে আমরা অঙ্গীকার করি যে, আমাদের মায়েদের খুব যত্ন করব। ভালবাসব। শ্রদ্ধা করব। কারণ মা একমাত্র প্রাণী যে নিজের কথা না ভেবে সন্তান-সন্ততিদের সুখের কথা ভাবেন। আমার মা বাতের রোগী। কষ্ট পান। তাও আমার ও আমার সন্তানদের কথাই ভাবেন।’