নয়াদিল্লি: তাঁর হাতেই গড়ে উঠেছিলেন একে একে মনোজ প্রভাকর, অতুন ওয়াসন, আকাশ চোপড়া, আশিস নেহরা, শিখর ধবন, ঋষভ পন্থের মতো ক্রিকেটাররা। সেই 'দ্রোণাচার্য' কোচ তারক সিনহা হার মানলেন ক্যান্সারের কাছে। ৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। কিংবদন্তি এই কোচ দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। 


দিল্লির সনেট ক্লাবের কোচ ছিলেন তারক। তাঁর হাত ধরেই পথ চলা শুরু হয়েছিল ক্লাবের। সেই ক্লাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তারকা সিনহার প্রয়ানের খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'সনেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা তারক সিনহা শনিবার রাত ৩টে নাগাদ প্রয়াত হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২ মাস ধরে ফুসফুসে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। দিল্লি ও জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রচুর প্রতিভা তারক সিনহার হাত ধরে উঠে এসেছে। আমরা তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা এই পুরো সময়টায় পাশে ছিলেন।' দিল্লি ও রাজস্থানে তারক সিনহার চিকিৎসা চলছিল। দেশের পঞ্চম ক্রিকেট কোচ হিসেবে দ্রােণাচার্য সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তারক সিনহা। তাঁর আগে এই তালিকায় ছিলেন, দেশপ্রেম আজাদ, গুরচরন সিংহ, রমাকান্ত আচরেকর ও সুনীত শর্মা। শুধু ছেলেদেরই নয়, মহিলা ক্রিকেটের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন তারক সিনহা। 


গত বছর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে ভারতীয় দলে জায়গা পাকা করেছিলেন ঋষভ পন্থ। তারক সিনহার পরামর্শেই কাজ হয়েছিল। যার প্রতিফলন দেখা গেল গাব্বায়। শুরুর দিকে হাওয়ায় কোনও শট খেলেননি ঋষভ। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউডদের বাউন্ডারি মেরেছেন। তবে মাটি ঘেঁষা শটে। একমাত্র নাথান লায়ন ছাড়া কাউকে তুলে মারেননি। পুরস্কার দলকে জেতানো ইনিংস| তারক পন্থকে নিয়ে বলেছিলেন, 'চাপের মুখে অটল আর শান্ত থাকার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ওর| কথা বলতে ভালবাসে। স্টাম্পসের পিছনে দাঁড়িয়ে কিপিং করার সময় স্পাইডারম্যান গাইতে পারা মনে হয় ওর পক্ষেই সম্ভব। তবে এর ইতিবাচক দিক হল, চাপ ওকে কাবু করতে পারে না। কঠিন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ায় না। ঋষভ এখন অনেক পরিণত। ভারতকে আরও ম্যাচ জেতাবে।'