সাউদাম্পটন: কথায় আছে, টেক ক্যাচেস উইন ম্যাচেস। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ক্যাচ ধরো ম্যাচ জেতো। ক্যাচ যে ম্য়াচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, মঙ্গলবার তা দেখিয়ে দিলেন শুভমন গিল। মহম্মদ শামির বলে শর্ট কভারে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে যে ক্যাচটি নিলেন গিল, তাকে ম্যাচের সেরা বলা হচ্ছে। যে ক্যাচ দেখে হতবাক ব্যাটসম্যান টেলরও। আর বিরাট কোহলি মুষ্টিবদ্ধ হাত শূন্যে ছুড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন।


ঠিক কী হয়েছিল? নিউজ়িল্যান্ড ইনিংসের ৬৪তম ওভারের প্রথম বল। মহম্মদ শামির বল অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে পড়ে ভিতরের দিকে ঢুকেছিল। ড্রাইভ মারার জন্য প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ব্যাটসম্যানকে। রস টেলর নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি। ফাঁদে পা দিয়ে ড্রাইভ করেন। বল তখন শূন্যে। শর্ট কভারে গিলকে ফিল্ডিং করাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তিনিও যেন অপেক্ষা করেছিলেন একটা আলগা শটের। তবে টেলরের ড্রাইভ গিলের চেয়ে অনেকটাই দূরে পড়ছিল। যা দেখে পঞ্জাবের ক্রিকেটার ডানদিকে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে দেন। বল মাটিতে পড়ার আগেই ছোঁ মেরে ধরে নেন। 



গিলের কাছে প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য় ছিল মাত্র ০.৮৮ সেকেন্ড। অর্থাৎ সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে গিল সিদ্ধান্ত নেন যে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে ক্যাচ নিতে হবে। আর তাঁর সেই অনুমানক্ষমতাই শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়।


রোজ বোলে ইতিহাসের হাতছানি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-নিউজ়িল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাচ। প্রায় দুই বছর ধরে লড়াইয়ের পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বিরাট কোহলির ভারত ও কেন উইলিয়ামসনের নিউজ়িল্যান্ড। তবে ফাইনালে থাবা বসিয়েছে বৃষ্টি। যে কারণে প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু হলেও বৃষ্টি ও কম আলোর জন্য মাত্র ৬৪.৪ ওভার খেলা হয়। তৃতীয় দিনও বৃষ্টিতে বন্ধ হয়েছে ম্যাচ। আর চতুর্থ দিন বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরুই করা যায়নি। ভারতীয় দল প্রথম ব্যাটিং করে ২১৭ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজ়িল্যান্ডের স্কোর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫২/৫। মঙ্গলবার, ম্যাচের পঞ্চম দিনও বাধ সেধেছে বৃষ্টি। ম্য়াচের ফয়সালা হওয়ার জন্য এখন রিজার্ভ ডে-ই ভরসা।