গল: জয়সূর্য বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা চেহারা। মাঝারি উচ্চতা। মাথার ঠিক মাঝখানের চুল ঝরে গিয়ে টাক পড়েছে। সাদামাটা চেহারা। অথচ বাইশ গজে ভয়ঙ্কর। ব্যাট হাতে এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলতেন যে, তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছিল মাতারা ড্যাশার। বল হাতেও ভয়ঙ্কর। কখন যে প্রতিপক্ষের একের পর এক উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন, বুঝতেও পারবেন না। শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর।
সনৎ জয়সূর্য (Sanath Jayasurya) ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট পেয়ে গেল নতুন এক জয়সূর্যকে। প্রভাত (Prabath Jayasurya) জয়সূর্য। অভিষেক ম্যাচেই যিনি নজর কেড়ে নিয়েছেন।
বয়স তিরিশ। বেশি বয়সেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় প্রবেশ করলেন। আর প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত পারফরম্যান্স। বাঁহাতি স্পিনার তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট। তাঁর বোলিং দাপটেই দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৩৬৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
মার্নাশ লাবুশানে ও স্টিভ স্মিথের জোড়া সেঞ্চুরির পর মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু দিমুথ করুণারত্নে ও কুশল মেন্ডিস হয়তো অন্যরকম কিছু ভেবেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে তোলা ৩৪৬ রানের জবাবে গলে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার (Aus vs SL) স্কোর ১৮৪/২।
গলের প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। সেই অবস্থাতেই দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমে স্টিভ স্মিথ ও লাবুশানের সেঞ্চুরির উপর দাঁড়িয়ে প্রথম দিন দাপট দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনটা অজিদের হলেও দ্বিতীয় দিন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা। এদিন সকালে ৬৬ রানে শেষ পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬৪ রানে থামিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। এরপর ব্যাট হাতেও দারুণ লড়াই করে শ্রীলঙ্কা। ফলে দ্বিতীয় দিনের শেষে জমে গেল টেস্ট ম্যাচ।
আরও পড়ুন: কোহলির স্লেজিংয়ে তিতিবিরক্ত বেয়ারস্টো ড্রেসিংরুমে পৌঁছেই বলে ফেলেছিলেন...