কলকাতা: সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি-র মসনদে পুনর্বহাল হচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। সঙ্গে সচিব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক ডালমিয়া।

লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে নেওয়ার পর শনিবার হতে চলেছে বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিকূলতা সামলাতে হতে পারে সৌরভকে। কারণ, শাসকগোষ্ঠীর প্যানেলের কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান দুই মুখ – বিশ্বরূপ দে ও সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের আপত্তি ছিল। বিশেষ করে যুগ্ম-সচিব পদপ্রার্থী দেবব্রত দাসকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল বিরোধী গোষ্ঠীর কর্তাদের। ওই পদে প্রার্থী দেওয়ার কথাও বিরোধীরা ভেবেছিলেন বলে সিএবি সূত্রে খবর। তবু, শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক গোষ্ঠীর পুরো প্যানেলই ক্ষমতায় আসতে চলেছে।

লোঢার সুপারিশ মেনে সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়কে নির্বাচনী অফিসার নিয়োগ করেছিল সিএবি। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বিবৃতি দিয়ে জানান, প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নরেশ ওঝা, সচিব পদে অভিষেক ডালমিয়া, যুগ্ম-সচিব পদে দেবব্রত দাস ও কোষাধ্যক্ষ পদে দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি, সুশান্তরঞ্জন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সিএবি-র সদ্যগঠিত এপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে অর্ধেন্দু কুমার ঘোষ, গৌতম গোস্বামী, জয়দীপ কোলে, মিন্টু দাস, নুমাজার মেটা, প্রবীর চক্রবর্তী, রাজীব ঘোষ, সম্রাট ভৌমিক, সঞ্জয় দত্ত, সুব্রত সাহা ও সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দীর্ঘ চার বছর পরে সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা হবে আগামীকাল বিকেলে। কোনও পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়ায় বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া থাকছে না। সংস্থার অডিট রিপোর্ট-সহ এজিএমের অন্যান্য নিয়মমাফিক বিষয় সারা হবে।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে যুগ্মসচিব হিসাবে সিএবি প্রশাসনে প্রবেশ করেন সৌরভ। পরের বছর জগমোহন ডালমিয়ার প্রয়াণের পর প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। আরও দশ মাসের জন্য তিনি দায়িত্বে থাকবেন। লোঢার সুপারিশ মেনে আগামী জুলাইয়ে তাঁকে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। প্রশাসক হিসাবে ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বলে। তবে কুলিং অফে যাওয়ার আগে ডালমিয়া-পুত্র অভিষেক আরও দুবছর পদাধিকারী থাকতে পারবেন।