কোচি: প্রথমবার সচিন তেন্ডুলকরকে টেক্কা দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) ফাইনালে মহম্মদ রফিকের শেষমুহূর্তের গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যাটলেটিকো দে কলকাতা। তৃতীয় আইএসএল-এর ফাইনালেও মুখোমুখি এই দুই দল। এবারও সচিনকে হারাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌরভ। পারবেন কি সচিন বদলা নিতে? ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা।

আইএসএল ফাইনাল ঘিরে কোচিতে উন্মাদনা চরমে পৌঁছে গিয়েছে। ৩০০ টাকার টিকিট ৩,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে না। ফাইনাল দেখার জন্য কেরলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোচিতে আসছেন ফুটবলপ্রেমীরা। দর্শক সমর্থন সচিনের দলের বড় ভরসা।

সেমি-ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারিয়েছে কলকাতা। অন্যদিকে, দিল্লি ডায়নামোজের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন মেহতাব হোসেন, রফিকরা। ফাইনালে দু বছর আগে হারের বদলা নেওয়াই মেহতাবের লক্ষ্য। অন্যদিকে, রফিক প্রথমবারের ফাইনালের মতোই আগামীকালও নায়ক হতে চাইছেন।

কলকাতাও পিছিয়ে নেই। দলের অন্যতম মালিক সৌরভ বরাবরই লড়াকু। ফুটবলারদের মধ্যেও সেই লড়াকু মেজাজ দেখা যাচ্ছে। কলকাতার কোচ হোসে মলিনা কোচির গ্যালারিতে বিপক্ষের সমর্থকদের শব্দব্রহ্মকে ভয় পাচ্ছেন না। তাঁর অন্যতম ভরসা গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। গোটা আইএসএল-এ যিনি অসাধারণ ফর্মে আছেন। সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগেও একাধিক অবধারিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন এই বাঙালি গোলকিপার। অবিনাশ রুইদাস, প্রীতম কোটাল, কিংশুক দেবনাথ, প্রবীর দাসের মতো বাঙালিরাও তৈরি। কোচি থেকে ট্রফি নিয়েই কলকাতা ফিরতে মরিয়া মলিনা।