কলকাতা: তিনি সব সময়ই কর্মব্যস্ত থেকেছেন। ক্রিকেট খেলার সময় দেশকে, আইপিএলের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসাবে হয়েছিলেন প্রবল জনপ্রিয়। ২০১৪ সালে ক্রিকেট প্রশাসনে প্রবেশ। সিএবি সচিব হিসাবে নতুন ইনিংস শুরু। জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর হন সংস্থার প্রেসিডেন্ট। ২০১৯ সালে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেন। সদ্য তিনি যে পদ ছাড়তে কার্যত বাধ্য হয়েছেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, তিনি সিএবি নির্বাচনে দাঁড়ান কি না, তা নিয়ে।


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) নিজেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি সিএবি নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করবেন। কিন্তু রবিবার মনোনয়ন জমা দিলেন না তিনি। প্রশাসনিক পদে আপাতত তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যাচ্ছেন সৌরভ।


এখন কী করবেন? রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন সৌরভকে। তিনি হেসে ওঠেন। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেন, 'দেখা যাক। লেটস সি...'। জল্পনা জিইয়ে রাখলেন সৌরভ। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শীঘ্রই ধারাভাষ্যকার হিসাবে ফিরতে পারেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।


সামনের বছর দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (ODI World Cup)। অনেকে আশা করেছিলেন, ইডেনে ফাইনাল আসবে? সৌরভ রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, 'ফাইনাল কোথায় যাবে, সেটা তো ঠিক করবে বোর্ড। ওরাই তো আয়োজক। সব সময় তো একটা জায়গায় ফাইনাল হয় না। এখন অনেক ভাল মাঠ রয়েছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব জায়গায় খেলা হবে।'


সিএবি নির্বাচনে (CAB) উলটপুরাণ হল। যেখানে দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehasish Ganguly) জায়গা ছেড়ে দিলেন সৌরভ। সিএবি-র আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করছেন না সৌরভ। তিনি যদিও আগে জানিয়েছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, কবে মনোনয়ন জমা করবেন সৌরভ।


রবিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিকেল পাঁচটার মধ্যে মনোনয়ন জমা করতেই হতো। সৌরভ নিজেও সিএবি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চমক অপেক্ষা করেছিল। দেখা যায়, সৌরভ নন, সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা করছেন দাদা স্নেহাশিস। যিনি বর্তমানে সিএবি সচিব ছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা করেন অমলেন্দু বিশ্বাস। সচিব পদে মনোনয়ন দেন নরেশ ওঝা। যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন জমা দেন প্রবীর চক্রবর্তী। যুগ্মসচিব থেকে যাচ্ছেন দেবব্রত দাসই।


বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় মনোনয়ন জমা করা প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় আসবেন। ৩১ অক্টোবর সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। সেদিনই নতুন কমিটি গঠন করা হবে।