কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে শেষ মুহূর্তে তাঁকে বাদ দিয়ে খেলানো হয়েছিল ভাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)। ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। বাকিটা ইতিহাস। বাংলার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন সৌরভ।
সিএবি নির্বাচনে (CAB) অবশ্য উলটপুরাণ হল। যেখানে দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehasish Ganguly) জায়গা ছেড়ে দিলেন সৌরভ। সিএবি-র আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করছেন না সৌরভ। তিনি যদিও আগে জানিয়েছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, কবে মনোনয়ন জমা করবেন সৌরভ।
রবিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিকেল পাঁচটার মধ্যে মনোনয়ন জমা করতেই হতো। সৌরভ নিজেও সিএবি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চমক অপেক্ষা করেছিল। দেখা যায়, সৌরভ নন, সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা করছেন দাদা স্নেহাশিস। যিনি বর্তমানে সিএবি সচিব ছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা করেন অমলেন্দু বিশ্বাস। সচিব পদে মনোনয়ন দেন নরেশ ওঝা। যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন জমা দেন প্রবীর চক্রবর্তী। যুগ্মসচিব থেকে যাচ্ছেন দেবব্রত দাসই।
বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় মনোনয়ন জমা করা প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় আসবেন। ৩১ অক্টোবর সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। সেদিনই নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
কেন তিনি নিজে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা করলেন না? সাংবাদিকদের সৌরভ বলেন, 'আমি বলেছিলাম নির্বাচন হলে লড়ব। কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে আসছে প্রার্থীরা। আমি থাকলে আরও দুজন পোস্ট পাবে না। সে জন্যই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় এসেছিলাম। আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারতাম। তবে মনে হয় না সেটা ঠিক হতো।'
সিএবি এজিএমের আগে সক্রিয় হয়েছিল বিরোধী গোষ্ঠী। বিশ্বরূপ দে, সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়, গৌতম দাশগুপ্ত, দেবব্রত সরকার (নীতু)-রা ঘনঘন বৈঠক করছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, তাঁদের মুখ হতে পারেন বিশ্ব মজুমদার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিরোধীরা নিষ্ক্রিয়ই রইলেন।
সৌরভ বলছেন, 'সিএবি-তে কোনো বিরোধী নেই। নীতু আমার বন্ধু মানুষ। কোনও বিরোধী নেই।' নতুন প্যানেল নিয়ে বলেন, 'ওরা অভিজ্ঞ। ওরা সংগঠন চালাবে। আমাকেও মাঝে মধ্যে পাবে।'
আরও পড়ুন: এমন মুহূর্ত আর কখনও আসবে না, পাকিস্তান ইনিংসকে ভেঙে বললেন অর্শদীপ