নয়াদিল্লি: ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মারকুটে ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ। খোলামেলা কথাবার্তাতেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনি বলেছেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আজ যে পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তার পিছনে রয়েছে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান। একটি সংবাদ চ্যানেলকে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমরা তখন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছিলাম। আমরা ঠিক করেছিলাম, ওপেনিং পার্টনারশিপে ভালো রান উঠলে তিন নম্বরে নামবেন সৌরভ। কিন্তু ওপেনিং পার্টনারশিপ ভালো না হলে ইরফান পাঠান বা ধোনির মতো পিঞ্চ হিটারকে পাঠানো হবে দ্রুত রান তুলতে’।


সহবাগ আরও বলেছেন, ‘সৌরভ ওই সময় ধোনিকে তিন-চারটি ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খুবই কম অধিনায়ক রয়েছেন যিনি প্রথমে নিজের ব্যাটিং পজিশন বীরেন্দ্র সহবাগকে এবং পরে নিজের ৩ নম্বর পজিশন ধোনিকে ছেড়ে দেবেন। দাদা তা না করলে ধোনি এত বড় প্লেয়ার হতে পারতেন না। সৌরভ সব সময়ই নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন’।

২০০৫-এ ভারতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকে সৌরভকে সরিয়ে দেওয়ার পর রাহুল দ্রাবিড় অধিনায়ক হন। ধোনির সম্পূর্ণ একজন ক্রিকেটার ও যথার্থ ফিনিসার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে দ্রাবিড়ের অবদানের কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি বীরু।

সহবাগ বলেছেন, ‘দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বর সময় ধোনিকে ফিনিসারের ভূমিকা দেওয়া হয়। কয়েকবার খারাপ শট খেলে আউট হয়ে যান তিনি এবং এজন্য একবার দ্রাবিড় তাঁকে বকাঝকা করেছিলেন। তারপর থেকেই ধোনি নিজের মনোভাব একেবারেই বদলে ফেলেন এবং দুর্দান্ত ফিনিসার হয়ে ওঠেন। যুররাজের সঙ্গে ধোনির যে পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল, তা অবিস্মরণীয়’।

উল্লেখ্য, ২০০৪-এ সৌরভের অধিনায়কত্বেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির অভিষেক হয়। এক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৮৩ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন ধোনি।