ম্যাঞ্চেস্টার: কার্যত নিয়মরক্ষার দুই ম্যাচ। যদিও আম আদমির উৎসাহ ছিল দুই ম্যাচকে ঘিরে। কারণ এই দুই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করেছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল লাইন আপ। ভারত লিগের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়াকে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠল ভারত। শেষ চারে তাই বিরাট কোহলিদের সামনে চার নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়ার সামনে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড।

শনিবার প্রথম ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ৩২৫/৬। অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ৯৪ বলে ১০০ রান করেন। ৯৭ বলে ৯৫ রান রসি ফান ডার ডাসেনের। জবাবে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১১৭ বলে ১২২ রান) ও অ্যালেক্স ক্যারির ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি (৬৯ বলে ৮৫ রান) অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রেখেছিল। তবে প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে শেষ ৬ ওভারে ৫৭ রান দরকার থাকলেও অস্ট্রেলিয়া ৪৭ রান তুলতে সক্ষম হয়। এক বল বাকি থাকতে ৩১৫ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে যে বিরাট কোহলিরা খুশি হবেন, জানিয়েছেন ডুপ্লেসি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভারত নিশ্চয়ই খুশি হবে আমরা ম্যাচ জেতায়। নিউজিল্যান্ডের ফর্ম পড়তির দিকে। শেষ তিনটি ম্যাচ ভাল খেলেনি। আমি ভারত-ইংল্যান্ড ফাইনাল দেখতে পাচ্ছি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া বড় ম্যাচটে ভাল খেলে। এই দুটো দলের মধ্যে একটা দল ফাইনাল খেলবে বলে মনে হয়।’

সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ দুরন্ত ছন্দে থাকা ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া শিবির অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত একটা ম্যাচ হবে। এজবাস্টনের পরিবেশও দারুণ থাকবে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে প্রস্তুতিতে জোর দিতে হবে।’




সেমিফাইনালের লাইন আপ:

৯ জুলাই: ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড (ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে)

১১ জুলাই: ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, এজবাস্টন (ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে)