কলকাতা: জিম্বাবোয়েকে প্রথম ওয়ান ডে-তে ১০ উইকেটে হারাল ভারত। লুসানে নামবেন নীরজ চোপড়া? খেলার দুনিয়ার সব খবর দেখে নিন এক ঝলকে।
বিরাট জয়
জিম্বাবোয়েকে দশ উইকেটে হারিয়ে দিল ভারত (Ind vs Zim)। ঘরের মাঠে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটারেরা ভারতের সামনে কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি। ১০ উইকেটে পরাস্ত হতে হল রেগিস চাকাভাদের। তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
জিম্বাবোয়ের ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারত। দুরন্ত ছন্দে ভারতের দুই ওপেনার। শিখর ধবন ১১৩ বলে ৮১ রানে অপরাজিত রইলেন। তাঁর চেয়েও আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন শুভমন গিল। মাত্র ৭২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। ৩০.৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত।
অনন্য রেকর্ড
জিম্বাবোয়েকে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারাল ভারত (Ind vs Zim)। সেই সঙ্গে গড়ল এক নজিরও। যা অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে কখনওই করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টানা ১৩টি ওয়ান ডে ম্যাচ জিতল ভারত (BCCI)। এর আগে কোনও দেশের বিরুদ্ধে টানা এতগুলো ওয়ান ডে ম্যাচ জেতেনি ভারত। সেদিক থেকে এটা এক অনবদ্য রেকর্ড।
এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টানা ১২টি ওয়ান ডে ম্যাচে জিতেছিল ভারত। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ১২ ম্যাচে হারিয়েছিল ভারত। সেটাই ছিল ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স। সেই রেকর্ড বৃহস্পতিবার পেরিয়ে গেল বৃহস্পতিবার।
১৪০ জনের মধ্যে পাস ৩!
ম্যাচ পরিচালনা করার দায়িত্ব বর্তাবে তাঁদের ওপর। যে কারণে আগ্রহীদের দক্ষতা যাচাই করে নিতে পরীক্ষার আয়োজন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। আর সেই পরীক্ষায় কি না ১৪০ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ মোটে তিন! বাকি ১৩৭ জনই ব্যর্থ!
এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আম্পায়ারদের লেভেল-২ পরীক্ষার আয়োজন করেছিল বোর্ড। গত মাসে বোর্ডের তরফে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পাস করা মানে মহিলা ও জুনিয়র স্তরের গ্রুপ ডি ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ প্রাপ্তি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এলিট আম্পায়ারের তালিকায় ঢোকার প্রথম ধাপও। পাস করতে হলে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৯০ পাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। সেখানেই মাত্র তিনজন পাসমার্ক পেরতে পেরেছেন। বাকি ১৩৭ জনই ফেল!
১৪ বছরের সফর
দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৪ বছর। সাল ২০০৮। ১৮ অগাস্ট। ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন এক তরুণ। সদ্য অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতে ফিরেছেন। তাঁকে তখন ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা হিসাবে চিহ্নিত করা শুরু হয়ে গিয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ওয়ান ডে ক্রিকেটের মঞ্চে। প্রথম সেই ম্যাচে বড় রান পাননি। ২২ বলে ১২ রান করে নুয়ান কুলশেখরার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গিয়েছিলেন।
সেদিনের সেই তরুণ পরবর্তীকালে বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবেন। গোটা দুনিয়া যাঁকে কুর্নিশ করবে কিংগ কোহলি বলে।
তিনি, বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ১৮ অগাস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছর সম্পূর্ণ হল। আর বিশেষ এই দিনে আবেগে ভাসলেন কোহলিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিল পোস্ট করলেন তিনি। যেখানে তাঁর কেরিয়ারের বিশেষ কিছু মুহূর্তকে ভিডিও কোলাজ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। সঙ্গে কোহলি লিখলেন, '১৪ বছর আগে সফর শুরু হয়েছিল আর সেটা এক বিরাট সম্মান'।
নীরজের আপডেট
চোটের জন্য কমনওয়েলথ গেমসে তিনি নামতে পারেননি। অনেকেই ভেবেছিলেন, অলিম্পিক্সে সোনাজয়ীর হাত ধরে কমনওয়েলথ গেমসেও জ্যাভলিন থ্রো থেকে একটি সোনা নিশ্চিতভাবে পাবে ভারত। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হয়নি।
এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, কবে ফের ট্র্যাকে দেখা যাবে নীরজ চোপড়াকে (Neeraj Chopra)? তাঁর চোটের কী অবস্থা এখন?
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে লুসানে আয়োজিত ডায়মন্ড লিগ মিটিংয়ে (Lausanne Diamond League Meeting) প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। কুঁচকির চোটের জন্য কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games) থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন 'সোনার ছেলে'।
আগামী ২৬ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ডায়মন্ড লিগ মিটিং। এই প্রতিযোগিতায় ফেরা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics) সোনাজয়ী এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার। তবে নীরজ ঘনিষ্ঠ সুত্রের দাবি, এই মুহূর্তে বিদেশে রিহ্যাব করছেন নীরজ। তাঁর কোচ ও সাপোর্ট স্টাফরাও সঙ্গে রয়েছেন। সামনেই ডায়মন্ড লিগ মিটিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নামার ব্যাপারে নীরজ ও তাঁর টিম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
চাহালের বিচ্ছেদ-জল্পনা
বৃহস্পতিবারও তিনি জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন। বল হাতে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেটও। কিন্তু মাঠের বাইরে আচমকা ঝড় উঠল যুজবেন্দ্র চাহালকে (Yuzvendra Chahal) নিয়ে।
কীরকম? বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের একটি ট্যুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ট্যুইটে জানানো হয় যে, পাঞ্জাব হাইকোর্টে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও তাঁর স্ত্রী ধনশ্রী বর্মা। ভারতীয় ক্রিকেট মহলেও তোলপাড় পড়ে যায়। চাহাল ও ধনশ্রীর প্রেম ও বিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কাহিনিগুলির মধ্যে একটি। লেগস্পিনারকে প্রায়ই দেখা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতে।
যে কারণে তাঁদের সম্ভাব্য বিচ্ছেদের খবর শুনে হতবাক হয়ে যায় সকলে। জোর আলোচনা শুরু হয়ে যায়, কী এমন হল যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন দুজনে।
আসল ঘটনা জানা যায় পরে। সংবাদসংস্থা এএনআই থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় যে, আগের ট্যুইটটি ভুয়ো। কেউ এএনআইয়ের লোগো নকল করে ওই ট্যুইটটি করেছে। চাহাল ও ধনশ্রীর বিচ্ছেদ হচ্ছে, এরকম কোনও খবরের কোনও ভিত্তি নেই বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: 'কেকেআর রিটেন না করাই খুশিই হয়েছি', প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক গিল