কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে দীনেশ কার্তিক কি আদৌ মাঠে নামতে পারবেন? আপডেট দিলেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে হেরে গেল বাংলা। 


কার্তিকের চোট নিয়ে দ্রাবিড়ের আপডেট


দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কিপিং করার সময় দ্বিতীয় ইনিংসেই পিঠে ব্যর্থ অনুুভব করেন দীনেশ কার্তিক। তাই বাধ্য হয়েই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। তিনি আর ম্যাচে মাঠে নামেননি। তাঁর পরিবর্তে ঋষভ পন্থই কিপিং করেন। এরপরেই প্রশ্ন উঠছে. তাহলে কি পন্থই কার্তিকের বদলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলবেন, না ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারবেন ডিকে? ম্যাচের আগের দিন, মঙ্গলবার ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) জানান, কার্তিক দলের অনুশীলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামা এখনও নিশ্চিত নয়। কাল এক পরীক্ষার পরেই কার্তিকের একাদশে খেলা বা না খেলার বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে।


সাংবাদিক সম্মেলনে দ্রাবিড় বলেন, 'আজ সকালে দীনেশ কার্তিক অনুশীলন করেছেন। তবে আমরা কাল আবার ওর ফিটনেস যাচাই করব। যেই সুযোগ পাক, আমরা সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে আছি।' ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তাও কার্তিকের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'পিঠের নীচের অংশে যন্ত্রণা রয়েছে কার্তিকের। তবে সেটা গুরুতর কিছু বলে শুনিনি। আমাদের মেডিক্যাল টিম ওকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছে। হিট ট্রিটমেন্ট ও মাসাজ থেরাপি চলছে। তাতে ওর অস্বস্তি কেটে যাবে দ্রুত। তাই ও বিশ্বকাপের বাইরে চলে গিয়েছে বলা যায় না।'




আইলিগের দিনক্ষণ ঘোষণা



শুরু হয়ে গিয়েছে আইএসএল মরসুম। রমরমিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে একের পর এক ম্যাচ। এরই মাঝে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) তরফে ২০২২-২৩ মরসুমের আই লিগ (I-League 2022-23) শুরুর দিনক্ষণও জানিয়ে দেওয়া হল। আগামী ১২ নভেম্বর (শনিবার) কেরলের মালাপ্পুরমে নতুন আই লিগ মরসুম শুরু হবে বলে জানানো হয় ফেডারেশনের তরফে। প্রথম ম্য়াচেই গত বারের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরলের মুখোমুখি হবে কলকাতা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।


ছিটকে গেল আফগানিস্তান


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা পরাজয় দিয়েই শুরু করেছিল। তবে টুর্নামেন্ট এগোতেই ছন্দে দ্বীপরাষ্ট্র। নাগাড়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (Wanindu Hasaranga)। মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ফের একবার বল হাতে জ্বলে উঠলেন লঙ্কার তারকা লেগ স্পিনার। হাসারাঙ্গার বোলিং এবং ধনঞ্জয় ডি সিলভার (Dhananjaya de Silva) ব্যাটিংয়ে ভর করেই আফগানিস্তানকে ছয় উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা (AFG vs SL)। 


ইংল্যান্ডের জয়


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনবদ্য ফর্মে ছিল নিউজিল্যান্ড। অপরদিকে, ইংল্যান্ড আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের পর বেশ চাপেই ছিল। অবশ্য বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মঙ্গলবার গাব্বায় কিউয়িদের ২০ রানের ব্যবধানে সহজেই হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড (ENG vs NZ)। এই দিনের আগে অপরাজিত নিউজিল্যান্ডকে হারাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জস বাটলার (Jos Butlter)। ৭৩ রানের ইনিংস খেলে তিনিই ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হলেন। পাশাপাশি ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও হয়ে যান তিনি।


কোয়ার্টারে বাংলার হার


মরসুম বদলালেও বাংলা ক্রিকেটের বদল হল না। চাপের মুখে নক আউট ম্যাচে ফের ব্যর্থ বাংলা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali Trophy 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে (Bengal vs Himachal Pradesh) চার উইকেটে পরাজিত হলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। দলের হয়ে শাহবাজ আমেদের দুরন্ত অর্ধশতরানে ভর করে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৯ রান তুললেও, ম্যাচের শেষ বলে হারতে হল বাংলাকে। ৫৯ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে এক উইকেটও নেন শাহবাজ। তবে হিমাচলের হয়ে আকাশ বশিষ্ঠ ও নিখিল গাংটার অর্ধশতরানে ভর করে জয় পেল হিমাচল। কাঁওয়ার অভিনয়ও হিমাচলের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন। বল হাতে তিনি চার উইকেট নেন।


গিলের শতরান


কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে একসময় ইডেন মাতাতেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। সেসব দিন এখন অতীত। তবে ইডেন বরাবারই তাঁর পছন্দের মাঠ। সেই পছন্দের মাঠেই দুর্দান্ত এক শতরান হাঁকালেন গিল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন গিল। হাড্ডাহাড্ডি হাই স্কোরিং ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে নয় রানে জয়ও পেল তাঁর দল পঞ্জাব। 


গিল ছাড়া পঞ্জাবের হয়ে এদিন আনমলপ্রীত সিংহ অর্ধশতরান করেন। তিনি ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত বিশ ওভারে এই দুুই তারকার ব্যাটে ভর করেই পঞ্জাব চার উইকেটে ২২৫ রান তোলে পঞ্জাব। কর্ণাটকের হয়ে অধিনায়ক তথা তারকা ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়াল ব্যর্থ হলেও, দলের মিডল অর্ডার দুরন্ত লড়াই চালায়। অভিনব মনোহর  সর্বাধিক ৬২ রান করেন। মনীশ পাণ্ডে (৪৫), চেতনরাও (৩৩) রান করেন। শেষের দিকে মনোজ নয় বলে ২৫ ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ১৪ বলে ৩০ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে কর্ণাটককে জয় এনে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তা সম্ভব হয়নি। ২১৬ রানেই থেমে যেতে হয় কর্ণাটককে। পঞ্জাবের হয়ে রমনদীপ সিংহ দুই উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার। 


আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ম্য়াচে বৃষ্টির চোখরাঙানি, ভেস্তে যাবে ম্যাচ?