কলকাতা: ঝুলন গোস্বামীর শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে ১৬ রানে জয় পেল ভারত। সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ১-১ স্কোরলাইনে ম্যাচ ড্র করল সুনীল ছেত্রীর ভারত। এক নজরে খেলার সারাদিনের সব খবর।


হোয়াইটওয়াশ হল ইংল্যান্ড


মাত্র ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডেতে (INDW vs ENGW 3rd ODI) বোলিং করতে নেমেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। তা সত্ত্বেও ১৬ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। দলের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন রেণুকা সিংহ (Renuka Singh)। তাঁর বোলিং পরাক্রমে ভর করেই এই ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে হোয়াইওয়াশ করল ভারত। রেণুকা চার উইকেট নেন। ঝুলন গোস্বামী নেন দুই উইকেট।


ইডেনে ঝুলনের নামে স্ট্যান্ড


আজই নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে লর্ডসে নেমেছিলেন ঝুলন গোস্বামী (Jhulan Goswami)। কিংবদন্তি বঙ্গতনয়ার শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে শহরের এক মাল্টিপ্লেক্সে ভারত-ইংল্যান্ডের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (সিএবি)। এবার আরও এক অভিনব উপায়ে ঝুলনকে সম্মান জানানোর পরিকল্পনা খোলসা করা হল সিএবির (CAB) তরফে।


১৭০ জন উঠতি মহিলা ক্রিকেটারকে দক্ষিণ কলকাতার এক মাল্টিপ্লেক্সে ঝুলনের শেষ ম্যাচ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেই স্থানেই সিএবির আধিকারিকরা জানান তাঁরা ইডেন গার্ডেন্সে ঝুলন গোস্বামীর নামে এক স্ট্যান্ড নামাঙ্কিত করার পরিকল্পনা করছেন। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, 'আমরা ইডেন গার্ডেন্সের এক স্ট্যান্ড ঝুলন গোস্বামীর নামে নামাঙ্কিত করার পরিকল্পনা করছি। সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে একই সুরে ওঁর নাম উচ্চারিত হওয়াই উচিত। আমরা এই বিষয়ে সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলব। বার্ষিক দিবসে ওঁকে সংবর্ধনা জানানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।'


সুনীলদের ড্র


সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ১-১ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতকে। ম্যাচে বেশ অনেকগুলি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও, জয়সূচক গোল করতে পারেনি ভারত। ৩৬ মিনিটে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায়ই সিঙ্গাপুর এগিয়ে যায়। ইকশান ফান্ডির ফ্রি-কিক ভারতীয় ওয়ালে লেগে গোলকিপার গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে। তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই আশিক কুর্নিয়ান (Ashique Kuruniyan) ভারতীয় দলকে সমতায় ফেরান। সুনীল ছেত্রীর দুর্দান্ত পাস থেকে কুর্নিয়ান গোল করতে কোনওরকম ভুল করেননি। এরপর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নামবেন সুনীল ছেত্রীরা।  


অশ্রুজলে বিদায় ফেডেরারের


শেষবার কোর্টে নামলেন রজার ফেডেরার। তিনি খেললেন, তিনি কাঁদলেন, তিনি কাঁদালেন। লেভার কাপে ম্যাচ শেষে চোখে জল কিংবদন্তির। আবেগে কাঁদলেন ২ দশকের কোর্টের 'শত্রু' নাদালও। ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা মন খারাপের মুহূর্ত। লেভার কাপের ম্যাচ চললেও পুরাে টুর্নামেন্টের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রজারই। আড়াই দশকের কেরিয়ারকে বিদায় জানানোর জন্য নিজের শেষ মঞ্চ বেছে নিয়েছিলেন এই লেভার কাপকেই। যেখানে রজারের পাশে দাঁড়িয়ে আবেগে চোখের দল ফেললেন বর্তমানে বিশ্ব টেনিসের ২ সেরা নাদাল ও জকোভিচ। প্রায় দুই দশক ধরে এই দুইজনের সঙ্গেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল রজারের। তবে কোর্টের বাইরে যেন সবাইকে মিলিয়ে দিল রজারের বিদায়লগ্ন।


ফাইনালে সুতীর্থা


মুখ দেখাদেখি প্রায় বন্ধই। একে অপরের সঙ্গে ম্যাচ শেষে হাতও মেলালেন না। সুরাটে চলা ন্যাশনাল গেমসের সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিলেন মনিকা বাত্রা। উল্টোদিকে ছিলেন বাংলার সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়। কয়েক মাস আগেই এই সুতীর্থা ও প্রাক্তন জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ রায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনেছিলেন মনিকা। এদিন সেই মনিকাকেই প্রায় হেলায় উড়িয়ে দিলেন সুতীর্থা। খেলার ফল বাংলার প্য়াডলারের পক্ষে ১১-৬, ১১-৮, ১০-১২, ১১-৮, ৭-১১, ১১-৬। ম্য়াচ শেষে ম্যাচ আম্পায়ারদের সঙ্গে হাত মেলালেও মনিকার দিকে হাত বাড়াতে দেখা যায়নি সুতীর্থাকে। বোঝাই যাচ্ছিল যে তিক্ততার রেষ এখনও রয়েছে। 


আরও পড়ুন: কাঁধের অসহনীয় ব্যথা উপেক্ষা করে খালি পেটেই ইতিহাস গড়েছিলেন হরমনপ্রীত কৌর