কলকাতা: বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া (Aus vs Pak)। বিরাট কোহলির রেকর্ড স্পর্শ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। শনিবার নামছে ইস্টবেঙ্গল। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।
অস্ট্রেলিয়ার জয়
ওপেনিং জুটিতে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া (Aus vs Pak)। সেই ওপেনিং জুটিতেই কি ম্য়াচের রং পাল্টে দেবে পাকিস্তান?
দুই পাক ওপেনার ইমাম উল হক ও আবদুল্লা শফিক তখন ঝোড়ো মেজাজে ব্যাটিং করছেন। ২১ ওভারে ১৩৪ রান তুলে ফেলেছে পাকিস্তান। ৩৬৮ রানের লক্ষ্য তখন হাতের নাগালে মনে হচ্ছে। দুজনের ক্যাচ ফেলে আরও বেকায়দায় অস্ট্রেলিয়া।
ধাক্কাটা দিলেন মার্কাস স্টোইনিস। যিনি চোটের জন্য টুর্নামেন্টের মাঝপথে মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন। ফিরে এসে প্রথম ম্যাচে নজর কাড়তে না পারলেও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন। প্রথমে ব্যাটে ২১ রান। তারপর বল হাতে ফেরালেন দুই পাক ওপেনারকে। ইমাম ৭০ ও শফিক ৬৪ রানে ফিরলেন। ওপেনাররা ফিরতেই ম্যাচের পাল্লা ঢলে পড়ল অজ়ি শিবিরের দিকে। রান পাননি বাবর আজ়ম। মাত্র ১৮ করে ফেরেন। মহম্মদ রিজ়ওয়ান ৪৬ রান করলেও তা অজি শিবিরকে চাপে ফেলতে পারেনি। ৪ উইকেট নিয়ে ফের নজর কাড়লেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫ রানে অল আউট হয়ে গেল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে ম্য়াচ জিতে নিল।
শনিবার বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস
মাস তিনেক আগে যখন দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। বিশ্বকাপের (ODI World Cup) যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে তখন শ্রীলঙ্কার দাপট। নেদারল্যান্ডসকে দু-দুবার হারিয়ে দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র (Sri Lanka vs Netherlands)। যার মধ্যে একটি ছিল ফাইনালে। এত একপেশে হয়েছিল সেই ম্যাচ যে, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটপ্রেমীরাও হয়তো মনে রাখবেন না।
কিন্তু বিশ্বকাপে একটা ম্যাচ বদলে দিয়েছে পুরো পারিপার্শ্বিক। অন্যতম ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটিয়েছেন ডাচরা। আর তারপর থেকেই শ্রীলঙ্কা শিবিরেরও চাপে থাকার কথা। ফের যদি জ্বলে ওঠেন ডাচরা?
এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। প্রত্যেকবারই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রেকর্ড শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৫-০। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ ওয়ান ডে স্কোর ৪৪৩-ও উঠেছিল এই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেই।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছিল নেদারল্যান্ডস। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়ে ছবি বদলে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের ছন্দ আর নেই শ্রীলঙ্কার। এমনকী, এশিয়া কাপের ফাইনালিস্টরা এশিয়া কাপের ফর্মও ধরে রাখতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রেকর্ড রানব হজম করতে হয়েছিল। পাকিস্তান রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লজ্জার রেকর্ড গড়ে ধসে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার ওপর দাসুন শনাকার চোট। সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা শিবিরে।
ভুবনেশ্বরে পরীক্ষা ইস্টবেঙ্গলের
বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সপ্তমীর সন্ধ্যায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। তবে তা কলকাতায় নয়, ভুবনেশ্বরের মাঠে। হোম ম্যাচ হলেও তা প্রতিবেশী রাজ্যের শহরে খেলতে হচ্ছে তাদের, এই নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও কলকাতায় এই সময় প্রশাসনিক সমস্যা থাকায় শনিবারের ম্যাচ সরানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। আর এ জন্য সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)।
ভুবনেশ্বরে রওনা হওয়ার আগে কলকাতায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সমর্থকদের জন্য আমার খুবই খারাপ লাগছে। এই ম্যাচটা ঘরের মাঠে খেলতে পারছি না আমরা। ঘরের মাঠে আমাদের প্রতিটি ম্যাচেই সমর্থকেরা আমাদের বাড়তি শক্তি জোগায়। কিন্তু ক্লাবের ভালর জন্যও তো আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়”।
সৌরভের পুজো
দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) উন্মাদনায় মজেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও (Sourav Ganguly)। এবিপি লাইভের সঙ্গে একান্ত আড্ডায় জানালেন তাঁর পুজোর পরিকল্পনার কথা।
ক্রিকেট খেলার সময় বিদেশে বা দেশের অন্য শহরে থাকতে হতো অনেক সময়। প্রত্যেক বছর পুজোয় কলকাতায় থাকা হতো না সৌরভের। তবে এখন শহরেই পুজোর সপ্তাহ কাটাতে চান সৌরভ। বলছেন, 'পুজোয় এখানেই থাকব। পুজোয় কখনওই বাইরে যাই না। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দেখার মতো। আমি সবাইকে বলি, এত বড় উৎসব বিশ্বে আর কোথাও হয় না। এত আনন্দ মানুষের মনে যে, কলকাতায় না থাকলে দেখা যায় না। পুজোয় বাইরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।'
অনেকেই বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজো দেখতে আসে সৌরভ-দর্শনের জন্য। এত উন্মাদনা উপভোগ করেন? সৌরভ বলছেন, 'ওটা অত উপভোগ করি না। ঠিক আছে। বহুদিন ধরে হচ্ছে। মা দুর্গাকে দেখে খুব আনন্দ হয়। কিছু কিছু প্যান্ডেলে যাই ঠাকুর দেখতে। মানুষকে তো সারা বছর দেখি। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের। মা দুর্গা যখন আসে এর চেয়ে বড় কিছুই আর হতে পারে না।'
সারাবছর কড়া ডায়েট। পুজোর সপ্তাহে কি ছুটি? সৌরভ বলছেন, 'এমন নয় যে, আমার খাওয়াদাওয়া ভীষণ নিয়ন্ত্রিত। সবই খাই। তবে অত মিষ্টি খাই না। একটু আধটু খাই। তবে খাই। বাড়িতে রান্না হয়। মায়ের ভোগ হয়। বাইরে বেরিয়েও খাই। আনন্দের উৎসব। এ উৎসব মানুষ না দেখলে বিশ্বাস করবে না।'
টেলিভিশনে, বিজ্ঞাপনে তো অনেকরকম পোশাকে দেখা যায়। কখনও পাঞ্জাবি-পাজামা, কখনও ফর্ম্যাল। পুজোর কয়েকদিন পছন্দের পোশাক কী? সৌরভ বলেছেন, 'আমাকে জোর করে পাঞ্জাবি পাজামা পরতে হয় পুজোর জন্য। না হলে মা রেগে যায়। এমনিতে শার্ট প্যান্ট পরি। জিন্স ও টি শার্ট পরি। আসলে আমাকে বিজ্ঞাপন ও টেলিভিশনের কাজের জন্য সারা বছর এত সেজে থাকতে হয় যে, আমি অন্য সময় আর সাজি না।'
পাওয়ার প্লে নিয়ে সতর্কতা
পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থাকা দুটো দল। ২টোই চলতি বিশ্বকাপে (ICC ODI ) এখনও পর্যন্ত চারটে করে ম্যাচ টানা জিতেছে। আগামী রবিবার টুর্নামেন্টে প্রথমবার কোনও একটি দলকে হারের মুখ দেখতে হবে। ম্যাচে নামার আগে ভারতীয় দলকে নিয়ে সতর্ক কিউয়ি স্পিনার অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার। রোহিত, গিল, বিরাট, রাহুলরা প্রত্যেকে ফর্মে রয়েছেন। তাই ম্যাচে নামার আগেই গেমপ্ল্যান পরিষ্কার করে নিচ্ছেন কিউইয়ি তারকা। আর সেই অনুযায়ী ভারতীয় ব্যাটিংয়ের পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই টপ অর্ডারকে ফেরানোই একমাত্র লক্ষ্য মানছেন কিউয়ি স্পিনার।
এক সাক্ষাৎকারে নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার বলছেন, ''পিচে হালকা বাউন্স আছে। গতির দেখাও মিলবে। আমার মনে হয় আমাদের ফিল্ডিংয়ের সময় পাওয়ার প্লে খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। রোহিত শর্মা, শুভমন গিল যেভাবে ব্যাটিং করছেন, তাতে ম্যাচের রঙ ওই ১০ ওভারেই বদলে যেতে পারে। তাই পাওয়ার প্লে-র সময়ই ভারতকে আটকাতে হবে। শুরু থেকেই ওদের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে।'' স্যান্টনার আরও বলেন, ''ভারতীয় দল নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। নিজেদের ঘরের মাঠে খেলছে ওরা। আমাদের ওপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করবেই ওরা। তবে এটা ইতিবাচক দিক যে আমরা এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতেছি। আমরা শুধু নিজেদের ফোকাস নষ্ট করতে চাই না। খেলে যেতে চাই নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী।''