সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ঘিরে সরগরম গোটা রাজ্য। শহর কলকাতা সেজে উঠেছে আলোর মালায়। মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখার লাইন। নতুন পোশাক পরে, খোশমেজাজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে আমবাঙালি। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) উন্মাদনায় মজেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team) কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও (Sourav Ganguly)। এবিপি লাইভের সঙ্গে একান্ত আড্ডায় জানালেন তাঁর পুজোর পরিকল্পনার কথা।


পুজোর পরিকল্পনা


ক্রিকেট খেলার সময় বিদেশে বা দেশের অন্য শহরে থাকতে হতো অনেক সময়। প্রত্যেক বছর পুজোয় কলকাতায় থাকা হতো না সৌরভের। তবে এখন শহরেই পুজোর সপ্তাহ কাটাতে চান সৌরভ। বলছেন, 'পুজোয় এখানেই থাকব। পুজোয় কখনওই বাইরে যাই না। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দেখার মতো। আমি সবাইকে বলি, এত বড় উৎসব বিশ্বে আর কোথাও হয় না। এত আনন্দ মানুষের মনে যে, কলকাতায় না থাকলে দেখা যায় না। পুজোয় বাইরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।'


পাড়ার পুজো


বেহালার বীরেন রায় রোডে সৌরভের বাড়ির লাগোয়া বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজো। যে পুজোর সূচনা করেছিলেন সৌরভের বাবা চণ্ডীদাস গঙ্গোপাধ্যায়। তাও সৌরভের জন্মের বছরই। ১৯৭২ সালে। তারপর থেকে সৌরভের সঙ্গেই সমানুপাতিকভাবে বাড়ছে পুজোর বয়স। কতটা যুক্ত থাকেন পাড়ার পুজোয়? সৌরভ বলছেন, 'পুজোর তত্ত্বাবধান আমরা করি না। আমার ভাইয়েরা করে, তাদের স্ত্রীরা করে। খোঁজখবর নিই। প্রচুর লোক রয়েছে দেখাশোনা করার জন্য। আমি পুজোটায় আনন্দ করি। দুর্গা ঠাকুর দেখি। পুজো হয়। ঢাকের আওয়াজ। বাড়ি ভর্তি লোক। পিসিরা, কাকারা, ভাইয়েরা, বোনেরা। বন্ধুরা। সব মিলিয়ে জমজমাট।'


ঢাক-প্রেম


একটা সময় নিজে পাড়ার মণ্ডপে ঢাক বাজাতেন। সৌরভ বলছেন, 'এখন ঢাক বাজানো দেখি। এখন আর বাজাই না। এত ভিড় হয় যে, সুযোগ হয় না। তবে ঢাকের আওয়াজ অসাধারণ। যতক্ষণ না ঢাকে কাঠি পড়ে বোঝাই যায় না পুজো। রাস্তায় বেরলেই বোঝা যাবে পশ্চিমবঙ্গে পুজো। দেখার মতো।'


জনপ্রিয়তার হিড়িক


অনেকেই বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজো দেখতে আসে সৌরভ-দর্শনের জন্য। এত উন্মাদনা উপভোগ করেন? সৌরভ বলছেন, 'ওটা অত উপভোগ করি না। ঠিক আছে। বহুদিন ধরে হচ্ছে। মা দুর্গাকে দেখে খুব আনন্দ হয়। কিছু কিছু প্যান্ডেলে যাই ঠাকুর দেখতে। মানুষকে তো সারা বছর দেখি। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বহুদিনের। মা দুর্গা যখন আসে এর চেয়ে বড় কিছুই আর হতে পারে না।'


পুজোর খাওয়াদাওয়া


সারাবছর কড়া ডায়েট। পুজোর সপ্তাহে কি ছুটি? সৌরভ বলছেন, 'এমন নয় যে, আমার খাওয়াদাওয়া ভীষণ নিয়ন্ত্রিত। সবই খাই। তবে অত মিষ্টি খাই না। একটু আধটু খাই। তবে খাই। বাড়িতে রান্না হয়। মায়ের ভোগ হয়। বাইরে বেরিয়েও খাই। আনন্দের উৎসব। এ উৎসব মানুষ না দেখলে বিশ্বাস করবে না।'



পুজোর পোশাক


টেলিভিশনে, বিজ্ঞাপনে তো অনেকরকম পোশাকে দেখা যায়। কখনও পাঞ্জাবি-পাজামা, কখনও ফর্ম্যাল। পুজোর কয়েকদিন পছন্দের পোশাক কী? সৌরভ বলেছেন, 'আমাকে জোর করে পাঞ্জাবি পাজামা পরতে হয় পুজোর জন্য। না হলে মা রেগে যায়। এমনিতে শার্ট প্যান্ট পরি। জিন্স ও টি শার্ট পরি। আসলে আমাকে বিজ্ঞাপন ও টেলিভিশনের কাজের জন্য সারা বছর এত সেজে থাকতে হয় যে, আমি অন্য সময় আর সাজি না।'


আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ ফিট, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের একাদশে দেখা যেতে পারে স্টোকসকে


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial