কলকাতা: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England) টেস্ট সিরিজ জিতল ভারত। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। রাঁচিতে চতুর্থ টেস্টে ৫ উইকেটে জয়ী রোহিত শর্মারা। আইএসএলে জয়ের সরণিতে ফিরলে ইস্টবেঙ্গল এফসি (EBFC)। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


রাঁচিতে ভারতের জয়


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ (IND vs ENG 4th Test) জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৯২ রান। খুব বড় রান তাড়া করতে না হলেও, রাঁচির পিচে চতুর্থ ইনিংসে এই রান করা একেবারে যে সহজ ছিল তেমনটা নয়। শুরুটা ভাল করেও একসময় ১২০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে পরিপক্কতার সঙ্গে অপরাজিত ৭২ রানের পার্টনারশিপে দলের জয় সুনিশ্চিত করলেন দুই তরুণ ব্যাটার শুভমন গিল (Shubman Gill) ও ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel)।


রোহিতের কড়া বার্তা


আইপিএল (IPL) বা সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য টেস্ট ক্রিকেটকে এড়িয়ে যাচ্ছেন অনেককে, ভারতের তরুণ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ ভুরি ভুরি। শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) থেকে শুরু করে ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan), দীপক চাহার - ঘরোয়া ক্রিকেটে, বিশেষত রঞ্জি ট্রফিতে খেলছেন না শুধু আইপিএলের জন্য ফিট থাকবেন বলে, এরকম অভিযোগও উঠছে। রাঁচিতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের পর নাম না করে সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের উদ্দেশে তোপ দাগলেন রোহিত।


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ভারতের ৫ উইকেটে জয়ের পর রোহিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'দেখুন, কাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার খিদে নেই দেখেই বোঝা যায়। তাদের খেলিয়ে কী লাভ?'    


ম্যাচ খেললেন হার্দিক


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। গোড়ালিতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তারপর থেকে মাঠের বাইরে হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও তিনি খেলছেন না। আইপিএলে (IPL) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) অধিনায়ক হিসাবে নতুন ইনিংস শুরু করবেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। তার আগে অবশেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরলেন হার্দিক।


১৯ অক্টোবর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। চারমাস পর মাঠে ফিরলেন। সোমবার মুম্বইয়ে ডি ওয়াই পাটিল টি-টোয়েন্টি কাপে ম্যাচ খেললেন হার্দিক। বিপিসিএলের বিরুদ্ধে রিলায়েন্স ওয়ান দলকে নেতৃত্বও দেন হার্দিক। ম্যাচে ২ উইকেটে জিতেছে হার্দিকের দল। এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারেন ঈশান কিষাণও। যাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরবিআই দলে ঈশানের নাম রয়েছে। ১৬ দলের এই টুর্নামেন্টে খেললে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফেরার পর প্রথমবার মাঠে দেখা যাবে ঈশানকে। 


লাল-হলুদে স্বস্তি


আইএসএলে ঘুরে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-কে (Chennaiyin FC) হারাল লাল-হলুদ বাহিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করে কাঙ্খিত ৩ পয়েন্ট এনে দিলেন নন্দ কুমার। এই জয়ের ফলে আইএসএলের প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল তারা। বেঙ্গালুরুকে টপকে পয়েন্ট তালিকায় ইস্টবেঙ্গল উঠে এল আট নম্বরে। এখন ১৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের।


বিস্ফোরক হনুমা


হনুমা বিহারী (Hanuma Vihari) সিদ্ধান্ত নিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে আর কখনও অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) হয়ে খেলবেন না! এবং কাঠগড়ায় তুললেন অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে। অভিযোগ করলেন, তাঁকে অপদস্থ করা হয়েছে। এবং গোটা ঘটনা হয়েছে বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচ চলাকালীন। বিশাখাপত্তনমে যে ম্যাচে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছিল অন্ধ্র প্রদেশ।


চলতি রঞ্জি ট্রফিতে অন্ধ্র প্রদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হনুমা। ১৩ ইনিংসে ৫২২ রান করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পরই ইনস্টাগ্রামে লম্বা পোস্ট করেন হনুমা। জানান, তাঁকে দলের নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। জানুয়ারিতে বাংলার বিরুদ্ধে ম্যাচের একটি ঘটনার জন্য। যে ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ!


হনুমা লিখেছেন, 'বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আমি দলের অধিনায়ক ছিলাম। সেই ম্যাচ চলাকালীন আমি দলের ১৭তম সদস্যকে বকাঝকা করেছিলাম। তাতে সেই ক্রিকেটার তার বাবাকে অভিযোগ করে। তার বাবা একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অন্ধ্র প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেন। সেই ম্যাচে আমরা গতবারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে ৪১০ রান তাড়া করে লিড নেওয়ার পরেও নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়। আমার কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও।'