রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়: এবার সন্দেশখালির অশান্তির (Sandeshkhali Incident) পিছনে 'বহিরাগত তত্ত্ব' ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার (TMC MLA Saokat Molla)। বললেন, 'কলকাতা থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসছে... পিছন থেকে বিজেপি সিপিআইএম উস্কানি দিচ্ছে।' তাঁর মতে, সন্দেশখালি নিয়ে আজ যত খবর প্রকাশ হচ্ছে, তার ৯০ শতাংশই মিথ্যা। ঘটনাচক্রে এমন দিনে তিনি এই মন্তব্য করলেন যখন সন্দেশখালিকাণ্ডে এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 


সওকতের বক্তব্য...
সোমবার  ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চলের একটি প্রস্তুতি সভায় সওকত মোল্লা বলেন, 'কলকাতা থেকে ভাড়া করে নিয়ে আসছে লোক। পাঁচ হাজার দশ হাজার বিশ হাজার। কেউ কেউ ঘোমটা দিয়ে কথা বলছে, কেউ কেউ সরাসরি কথা বলছে। পরবর্তী কালে দেখা যাচ্ছে সিগারেট খাচ্ছে। এতদিন ঐ এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে কেউ ফোনে একটা ছবি তোলেনি।' এ সবের নেপথ্যে 'বিজেপি-সিপিএম'-র উস্কানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের। এতেই শেষ নয়। তাঁর মতে, 'যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও লোক, কোনও নেতা কাউকে ধর্ষণ করে, রাত্রিবেলা মিটিংয়ে ডেকে নিয়ে যায়, সকলের হাতেই তো এই অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে, একটা ছবি তুলে কেউ দিতে পারেনি, এটা কেউ বিশ্বাস করবে?' 
তৃণমূল বিধায়কের এই প্রশ্নের পাল্টা দিয়েছেন স্থানীয়দের অনেকেই। এক বাসিন্দা যেমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, 'আমরা বহিরাগত যদি হই, উনি এসে দেখে যান। এত সবাই আসতে পারছে, উনি আসতে পারছেন না কেন? আমরা আধার কার্ড, আইকার্ড সবকিছুই দেখাব। ভোটটা নেওয়ার সময় তখন বহিরাগত হয় না, আর এখন বহিরাগত?' প্রশ্ন রয়েছে আরও। সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে কীভাবে ঢুকতে পারছে বহিরাগতরা? তা হলে কি যথেষ্ট নজরদারি নেই? আর মন্ত্রীদের সামনেই প্রশ্ন-ক্ষোভের বন্যা ছুটছে কী ভাবে?


আর যা...
এই অশান্তির জন্য বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় আবার দায় চাপিয়েছেন সংবাধমাধ্যমের ওপর! যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, 'সন্দেশখালি নিয়ে যা হচ্ছে সেটা, সংবাদমাধ্যম তৈরি করছে! আমি আর তাতে যোগ দিতে চাই না!'  প্রবীণ সাংসদের এহেন মন্তব্যের সমালোচনা করেন বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী যেমন বলেন, 'সৌগত রায়কে এখন টিকিট নিতে হবে। যদি  মিডিয়া তৈরি না করছে  না বলেন, যদি বলেন প্রকৃত জনরোষ হচ্ছে, তাহলে কালকেই টিকিটটা হাতছাড়া হয়ে যাবে। সে কাজ নিশ্চয় বুদ্ধিমান অধ্যাপক করবেন না।'


 


আরও পড়ুন:'কপি মেলেনি..', শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদনের শুনানি পিছোল আদালতে