কলকাতা: আইএসএলে বিরাট জয় ইস্টবেঙ্গলের। দক্ষিণ আফ্রিকার সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দলে নেই তেম্বা বাভুমা, কাগিসো রাবাডা। টিটি টুর্নামেন্টে বিপত্তি। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


লাল-হলুদ ঝড়


ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিগজ়াউম। তটস্থ দক্ষিণ ভারত। সোমবার পূর্ব ভারতেও ঝড় উঠল। তবে ফুটবল মাঠে। যুবভারতী স্টেডিয়ামে লাল-হলুদ ঝড়। আইএসএলে (ISL) নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল এফসি (EBFC vs NEUFC)।


নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিক রেকর্ড ঈর্ষণীয় ছিল না। শেষ ৫টি ম্যাচের মধ্যে মোটে ১টি জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যেখানে নর্থ ইস্ট জিতেছে ২টি ম্যাচ। ২টি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তবে সোমবার যেন সমস্ত হিসেব নিকেশ উল্টে দেওয়ার পণ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা।


ঘূর্ণিঝড়ে বিপাকে


ঘূর্ণিঝড় মিগজ়াউমের (Cyclone Michaung) দাপটে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণ ভারত। আপদকালীন পরিস্থিতিতে দুদিনের ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে তামিলনাড়ু (Tamilnadu)। রেশ পড়েছে অন্ধ্র প্রদেশেও। একের পর এক বিমান ও ট্রেন বাতিল হচ্ছে। বিজয়ওয়াড়ায় টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে বিপাকে বাংলার প্যাডলাররা।


অন্ধ্র প্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় চলছে ন্যাশনাল ব়্যাঙ্কিং টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ (NATIONAL RANKING TABLE TENNIS CHAMPIONSHIPS-2023)। ২৯ নভেম্বর শুরু হয়েছে টুর্নামেন্ট। শেষ হওয়ার কথা ৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার। কিন্তু প্রকৃতির রুদ্ররোষে সমস্যায় প্যাডলারেরা। সকলের চিন্তা বাড়িয়েছে পরের টুর্নামেন্টের সূচিও। হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে পরের ন্যাশনাল ব়্যাঙ্কিং টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ। বিজয়ওয়াড়া থেকেই হরিয়ানা যাওয়ার কথা সমস্ত টিটি খেলোয়াড়দের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব পরিকল্পনাই বিশ বাঁও জলে।


বিজয়ওয়াড়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গিয়েছেন বাংলার টিটি কোচ দম্পতি সৌম্যদীপ রায় ও পৌলমী ঘটক। কিন্তু মিগজ়াউমের জন্য আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সকলে। বিজয়ওয়াড়া থেকে মোবাইল ফোনে পৌলমী বলছিলেন, 'অনূর্ধ্ব ১৫, অনূর্ধ্ব ১৩, অনূর্ধ্ব ১১ বিভাগের খেলা চলছে। এদিকে বাইরে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। একের পর এক বিমান ও ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। বাচ্চারা ও তাদের অভিভাবকেরা বেশ উদ্বেগে রয়েছে।'


নেই বাভুমা-রাবাডা


ভারতের (IND vs SA) বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি, ওয়ান ডে ও টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। ১০ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ৭ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে ম্যাচের সিরিজ ছাড়াও দুটি টেস্ট খেলবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।


এই প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন মিহলালি মঙ্গাওনা, ডেভিড বেডিংহাম ও নান্দ্রে বার্গার। তিন দলেই রাখা হয়েছে পেসার বার্গারকে। বেডিংহাম সুযোগ পেয়েছেন শুধু টেস্ট দলে। 


তবে সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় সীমিত ওভারের দল থেকে তেম্বা বাভুমা ও কাগিসো রাবাডার বাদ পড়া। সদ্যসমাপ্ত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে শেষ চারের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হন প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপে বাভুমার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অধিনায়ক ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। অনেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ফের খালি হাতে বিশ্বকাপ থেকে ফেরার কারণ হিসাবে বাভুমার ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। তারপরই দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়লেন বাভুমা। সঙ্গে রাবাডাও। যদিও বলা হয়েছে, টেস্টে বেশি মনোনিবেশ করার জন্যই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নেই দুই তারকা। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে টেস্ট সিরিজ।


বুমরার তারকা ভক্ত


তিনি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের কিংবদন্তি। তবে ক্রিকেটেও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) ফাইনাল দেখতে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনি হাজির হয়ে গিয়েছিলেন।


সেই নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) এবার জানালেন, তাঁর প্রিয় বোলার কে। বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। ৭ ম্য়াচে ২৪ উইকেট নিয়ে তিনিই হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। তবে শামি নন, জ্যাভলিনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নীরজ চোপড়ার পছন্দের বোলার যশপ্রীত বুমরা।


বুমরার অ্যাকশন, নিখুঁত ইয়র্কার, অভ্রান্ত লাইন-লেংথ - সব কিছু দেখে মুগ্ধ নীরজ। বলেছেন, 'আমি যশপ্রীত বুমরাকে পছন্দ করি। ওর অ্যাকশনটা অভিনব।'


বাংলার মেয়েদের দাপট


মহিলাদের ক্রিকেটে বড়সড় সাফল্য পেল পূর্বাঞ্চল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) আয়োজিত মহিলাদের সিনিয়র আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল পূর্বাঞ্চল। আর সেই জয়ে বড় অবদান থাকল বাংলারও। কারণ, পূর্বাঞ্চল দলের আট ক্রিকেটার বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন।


সোমবার ছিল মহিলাদের সিনিয়র আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনাল। লখনউয়ের শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে পূর্বাঞ্চলের প্রতিপক্ষ ছিল পশ্চিমাঞ্চল। পূর্বাঞ্চল দলে ছিলেন বাংলার দীপ্তি শর্মা, ধারা গুজ্জর, প্রিয়ঙ্কা বালা, রিচা ঘোষ, মিতা পাল, তিতাস সাধু ও সাইকা ইশাক। মহিলাদের আইপিএলে নজর কেড়েছিলেন সাইকা। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। মহিলাদের সিনিয়র আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে পূর্বাঞ্চলের নেতৃত্বের দায়িত্বেও ছিলেন সাইকা। গোটা টুর্নামেন্টেই বাংলার ক্রিকেটারেরা ভাল খেলেন। দলের কোচও হয়েছিলেন বাংলার প্রবাল দত্ত।


তবে ফাইনাল ম্যাচটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। লিগ পর্বে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকার কারণে পূর্বাঞ্চলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাতিল বিমান-ট্রেন, বিজয়ওয়াড়ায় উদ্বেগে বাংলার টিটি খেলোয়াড়েরা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।