মুম্বই: মাঠ থেকে প্রায় সাত বছর দূরে থাকতে হয়েছিল ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শ্রীসন্থকে। অবশেষে সাড়া জাগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটল তাঁর। কেরলের হয়ে খেলতে নেমে এই পেসার হাত ঘুরিয়ে উইকেটও তুললেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে পন্ডিচেরির বিরুদ্ধে সোমবার খেলতে নামেন শ্রীসন্থ।
সাত বছর আগে তাঁকে শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে খেলেছিলেন তিনি। তবে এতদিন মাঠের বাইরে থাকলেও বোলিং দক্ষতায় যে মরচে পড়েনি, তা দেখিয়ে দিলেন শ্রীসন্থ। চেনা ছন্দেই দেখা গেল তাঁকে। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে বল হাতে যে বিশেষ দক্ষতা ছিল, তা অটুটই রয়েছে।
কেরলের হয়ে পন্ডিচেরির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ৩৭ বছরের বোলার তাঁর প্রত্যাবর্তনে প্রথম উইকেট তুলতে নিলেন সাতটি বল। মুম্বইয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টের ম্যাচে পণ্ডিচেরির ব্যাটসম্যান ফাবিদ আহমেদকে আউট করলেন তিনি। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে চেনা ছন্দে নিজেকে মেলে ধরলেন শ্রীসন্থ। সেই সুপরিচিত আউটসুইঙ্গার বেরোল তাঁর হাত থেকে। আর তাঁর এমনই একটি আউট সুইঙ্গারে বোকা বনলেন বিপক্ষের ডানহাতি ব্যাটসম্যান। স্ট্যাম্প উপড়ে গেল তাঁর।
চার ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন শ্রীসন্থ। আর স্পেল শেষ করার পর পিচে ঝুঁকে কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি।
এর আগে এই ফাস্ট বোলারের নাম সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি ২০২১-এর জন্য কেরলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের তালিকায় ছিল। এই ম্যাচের আগে শ্রীসন্থকে বেশ কয়েকটি গা ঘামানোর ম্যাচ খেলতে দেখা গিয়েছিল। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজে দেখা গেল তাঁকে।
২০১৩-র আইপিএলে ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন তিনি। একাধিক তদন্তের পর বিসিসিআই তাঁকে আজীবন নির্বাসিত করেছিল। তবে শেষপর্যন্ত ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পরে কমে হয় সাত বছর।
একটা সময় ভারতীয় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন শ্রীসন্থ। তাঁর বোলিং তারিফ আদায় করে নিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন তিনি।